বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

অনলাইনে পরোক্ষ আয়ের উৎস

টেকনোলজি ডেস্ক

অনলাইনে পরোক্ষ আয়ের উৎস

আয়ের হিসেবে অনলাইন বেশ জনপ্রিয় মাধ্যম। এখানে আয়ের নানা উৎস রয়েছে। তন্মধ্যে সবচেয়ে বেশি নজর কাড়ে পরোক্ষ আয়ের উৎসগুলো। এসব উৎসে অর্থ উপার্জনে তেমন কোনো কাজ করতে হয় না। তবে ধীরে ধীরে আয় বাড়তে থাকে।

মানুষের জীবিকানির্বাহে ইন্টারনেট এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অনলাইনে অর্থ আয়ের জন্য নানা কৌশল প্রয়োগ করছে। অনলাইনে আয়ের নানা পথও তৈরি হয়েছে। অনলাইনে আয়ের নানা উপায় রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নজর কাড়ে পরোক্ষ আয়ের উৎস। এ উৎসগুলো থেকে অর্থ উপার্জন করতে সেই অর্থে কোনো ‘কাজ’ করতে হয় না।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং : অনলাইনে পরোক্ষ আয়ের অন্যতম মাধ্যম অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে অংশ নেওয়ার জন্য প্রথমে নিজের একটি ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠা করা জরুরি। এই ব্র্যান্ডের ভিত্তি হিসেবে থাকবে নির্দিষ্ট বিষয়বস্তু। এরপর সেগুলোর সঙ্গে প্রাসঙ্গিক ও মানানসই পণ্যের প্রচার করার মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করা যাবে। যেমন- কারও যদি শরীরচর্চা বিষয়ক ব্লগ বা ইউটিউব চ্যানেল থেকে থাকে, তাহলে তিনি ব্যায়ামের বিভিন্ন সরঞ্জামের প্রচার চালানো শুরু করতে পারেন এবং সেখান থেকে বিক্রি হওয়া প্রতিটি পণ্যের জন্য কমিশন পেতে পারেন।

অনলাইন কোর্স : অনলাইনে কোর্স তৈরি ও বিক্রি পরোক্ষ আয়ের আরেকটি পদ্ধতি। যদি আপনার কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষতা থেকে থাকে, তবে তা নিয়ে ইউডেমি, টিচেবল বা স্কিলশেয়ারের মতো মাধ্যমগুলোতে কোর্স তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন। একবার কোর্স তৈরি হয়ে গেলে পরে কোনো ধরনের বাড়তি বিনিয়োগ ছাড়াই সেখান থেকে অর্থ আয় করা সম্ভব। আপনি চাইলে বিভিন্ন মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ের কোর্সও চালু করতে পারেন।

-বুক : লেখালেখিতে আগ্রহ থেকে থাকলে নজর দিতে পারেন ডিজিটাল বই বা ই-বুক বিক্রির দিকে। সে জন্য আছে অ্যামাজন কিন্ডল বা অ্যাপল বুকের মতো প্ল্যাটফরম। এগুলোতে নিজের পছন্দ ও জ্ঞানের ওপর নির্ভর করে বই লিখে ফেলা যায় রান্নাবান্না, ভ্রমণ বা ব্যক্তিগত খরচাপাতিসহ যে কোনো বিষয়ে। এসব পরিসরে একবার বই প্রকাশিত হয়ে গেলে ‘যত বিক্রি, তত আয়’ নীতিতে বাড়তি কোনো প্রচেষ্টা ছাড়াই অর্থ উপার্জন করা সম্ভব।

ওয়েবসাইট বা ব্লগের বিজ্ঞাপন : পুঁজিবাদী যুগটাকে যে এক হাতে সামলাচ্ছে বিজ্ঞাপনের জগত, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। অফলাইনের মতো অনলাইনেও বিজ্ঞাপনের রাজত্ব। তাই নিজের কোনো সক্রিয় ওয়েবসাইট বা ব্লগ থেকে থাকলে তাতে বিজ্ঞাপন যোগ করার কথা ভাবা যায়। গুগল অ্যাডসেন্সের মতো প্ল্যাটফরমের সাহায্যে এসব ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন সংযুক্ত করা যায়। কোনো পাঠক বা ভিজিটর ওয়েবসাইটে গেলে এসব বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হবে। যত বেশি বার কেউ বিজ্ঞাপন দেখবে, তত বেশি অর্থ যোগ হবে। তবে এজন্য ব্লগ বা ওয়েবসাইটটি মানসম্মত হওয়া জরুরি।

স্টক ফটোগ্রাফি : মনের মতো কোনো দৃশ্য ধরে রাখতে ভালোবাসলে আর ক্যামেরার কারিগরিতে আগ্রহ থাকলে ছবি তোলার শখটিও হতে পারে আয়ের উৎস। অনলাইনে নিজের তোলা ছবি বিক্রির জন্য শাটার স্টক, আই স্টক ও অ্যাডোবি স্টকের মতো বিভিন্ন ওয়েবসাইট আছে। এসব মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে ছবি বিক্রি করা যায় এবং বিক্রির কাজটি ওয়েবসাইট থেকেই করে দেওয়া হয়। একবার ছবি আপলোড করা হয়ে গেলে পরে আর কোনো শ্রম ব্যয় না করেই সেখান থেকে বছরের পর বছর ধরে অর্থ আয় করা সম্ভব।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর