মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

যেভাবে শুরু করবেন ভ্লগ

টেকনোলজি ডেস্ক

যেভাবে শুরু করবেন ভ্লগ

সময়ের সবচেয়ে পরিচিত শব্দ ভ্লগ। মূলত অডিও-এর পাশাপাশি ভিজ্যুয়াল মাধ্যমে ব্লগিং করাই ভ্লগ। আর যারা এই কাজটি করেন তাদের বলা হয় ভ্লগার। ভ্লগিং দুনিয়ায় যদি নতুন হয়ে থাকেন তাহলে আজ পরিচয় করিয়ে দেব এমন সব ভ্লগিং গিয়ারের সঙ্গে, যা দিয়ে সহজেই ভ্লগ তৈরি করা যাবে। আপনি যদি ভ্লগ শুরু করার কথা ভেবে থাকেন, তাহলে দ্রুত এবং দুর্দান্ত ভিডিও শ্যুট শুরু করতে অনুসরণীয় এমন কয়েকটি সহজ টিপস আছে।

 

জানা বিষয়ে ভ্লগ নির্মাণ করুন

আত্মবিশ্বাস হলো সাফল্যের চাবিকাঠি। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কনটেন্ট ‘বিক্রয়’ করার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো জানা বিষয়ে আলোচনা। যারা ইতোমধ্যে সাফল্য অর্জন করেছেন তারা একই বিষয়ের ওপর জ্ঞান অর্জন করেছেন, প্রচুর সময় ব্যয় করেছেন। অর্জনের পাশাপাশি দর্শকদের সঙ্গে যথেষ্ট সময় ব্যয় করেছেন। আপনার প্রথম ব্লগ বানানোর আগে ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করুন এবং নির্ধারণ করুন আপনার চ্যানেলটি কোন বিষয়ের ওপর কাজ করবে। এটি হতে পারে ফিটনেস, রান্না, ভ্রমণ, বা প্যারেন্টিং- এমন কিছু বেছে নিন।

 

দর্শকদের জন্য কনটেন্ট নির্মাণ

কাদের জন্য ভ্লগ বানাবেন সেটা নিয়ে ভাবার সময় হয়েছে। অর্থাৎ ‘টার্গেট অডিয়েন্স’ নির্ধারণ করতে হবে। নির্মিত কনটেন্ট দর্শকদের কাছে আবেদনময়ী করতে হবে। এ ছাড়া টার্গেট অডিয়েন্স প্রাপ্তির জন্য, তাদের মনোযোগ ধরে রাখার জন্য কণ্ঠস্বর একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। তাই উপযুক্ত কণ্ঠস্বর বিকাশের জন্য আপনাকে শ্রম দিতে হবে। কারণ আপনার কণ্ঠই দর্শকদের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম। যা তাদের সঙ্গে কথা বলে এবং তার কথা বলে।

 

কাজকে করুন প্রাণবন্ত

কাজের শুরুতে একটি মৌলিক রূপরেখা তৈরি করে নিতে পারেন। যে বিষয়ের ওপর কনটেন্ট নির্মাণ করতে চান তা যদি আগে থেকেই ‘ফ্রেম ওয়ার্ক’ করা থাকে তাহলে ভ্লগ তার নিজস্ব গতিপথেই থাকবে। ক্যামেরা ঘুরানোর ক্ষেত্রে খুব বেশি গভীরে না গিয়ে তথ্য প্রদানে মনোযোগ দেওয়া শ্রেয়। আগে থেকেই মৌলিক রূপরেখা তৈরি করা থাকলে কাজ আরও স্পষ্ট এবং আত্মবিশ্বাসী হবে। এ দুটি বিষয় দর্শকদের কাছে বিশ্বস্ততা বাড়ায়। যদি আপনি ক্যামেরার সামনে নতুন হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার স্ক্রিপ্টেও কিছু অবাচনিক ইঙ্গিত যোগ করতে পারেন। ‘বিরাম’, ‘হাসি’ বা ‘হাতের অঙ্গভঙ্গি ব্যবহার করুন’ এ বিষয়গুলো ক্যামেরার সামনে আপনাকে আরও স্বাভাবিক দেখাবে।

 

ভ্লগের অঙ্গসজ্জার দিকে নজর

একটি ভ্লগের ক্ষেত্রে ‘ভিডিও’ এবং ‘অডিও’ ভ্লগের দুটি অংশ মাত্র। এতেই কিন্তু কাজ শেষ হয়ে যায় না। ভ্লগ সম্পাদনা, মিউজিক, সাবটাইটেল যোগ করা ভ্লগের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এ ছাড়া প্রথম স্থানে ভিডিওতে ক্লিক করতে তাদের উৎসাহিত করতে টাইটেল এবং নজরকাড়া থাম্বনেল যোগ করতে সময় ব্যয় করা উচিত। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য অনেক ভিডিওর সঙ্গে আপনার সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান (এসইও) প্রচেষ্টা একটি ভাল ধারণা। যখন ভিডিও আপলোড করা হবে, তখন শিরোনাম এবং বিবরণে প্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ড ব্যবহার করুন যা আপনার কাক্সিক্ষত দর্শকের কাছে পৌঁছতে সাহায্য করবে।

 

ভালো ক্যামেরায় বিনিয়োগ

আপনি যত বড়ই বিশেষজ্ঞ হন না কেন, আপনার ভিডিও এবং অডিও কোয়ালিটি ভালো না হলে দর্শক মুখ ফিরিয়ে নিবে সহজেই। তাই প্রয়োজন ভালো মানের ক্যামেরা গিয়ার। এটি চটকদার বা খুব ব্যয়বহুল হওয়ার দরকার নেই। তবে, এমন বিষয়বস্তু যেন সহজে শোনা এবং বোঝা যায় সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সেক্ষেত্রে যোগ করতে পারেন একটি মিনি ট্রাভেল ট্রাইপড, ভালো মানের ক্যামেরা, এক্সট্রা মাইক্রোফোন ও লাইটিং সিস্টেম।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর