শনিবার, ১৭ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

এক দশকে বৈশ্বিক উষ্ণতা বেড়েছে ১.১৪ সেলসিয়াস!

এক দশকে বৈশ্বিক উষ্ণতা বেড়েছে ১.১৪ সেলসিয়াস!

প্রায় ১০০ বছর আগেই সতর্ক করেছিলেন সুইডিশ পদার্থবিজ্ঞানী আরহেনিয়াস। কী বলেছিলেন তিনি! সে সময় তিনি বলেছিলেন, ‘বাতাসে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে চলেছে দ্রুত। গ্যাসটি বায়ুমন্ডলের উষ্ণতা বাড়িয়ে দিয়ে ভবিষ্যৎ পৃথিবীর বড় বিপদ ডেকে আনছে। অতএব সাবধান।’ সতর্ক বাণী থাকা সত্ত্বেও তৎকালীন বিশ্ব মোড়লরা সাবধান হননি, দুর্র্ভাগ্যবশত আজও এই বিষয়ে টনক নড়ছে না বিশ্বের ধনী রাষ্ট্র এবং রাষ্ট্রপ্রধানদের।

 

গত এক দশকে বৈশ্বিক উষ্ণতা বেড়েছে ১ দশমিক ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সম্প্রতি জার্মান বন শহরে জাতিসংঘ বার্ষিক জলবায়ু সম্মেলনের (কপ-২৮) অন্তর্বর্তী আলোচনায় উপস্থাপিত নতুন গবেষণা থেকে এ তথ্য জানা গেছে। আর্থ সিস্টেম সায়েন্স ডাটা জার্নালে প্রকাশিত ‘বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন সূচক-২০২২ : জলবায়ু ব্যবস্থার ওপর মানুষের প্রভাবের সূচকগুলোর বার্ষিক আপডেট’ শীর্ষক গবেষণার বরাত দিয়ে সম্মেলনে গবেষকরা সতর্ক করে বলেছেন, পরিবেশবিরোধী কর্মকান্ড বিশেষ করে জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর ফলে কয়েক দশকে বিপুল পরিমাণ গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ হয়েছে। ফলে প্রতি দশকে গড়ে দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হারে তাপমাত্রা বেড়েছে। তবে নজিরবিহীনভাবে ২০১৩ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত এক দশকে সবচেয়ে বেশি তথা ১ দশমিক ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৈশ্বিক উষ্ণতা বেড়েছে। এদিকে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে তীব্র দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। দাবদাহের তীব্রতা এতটাই বেশি যে, বিগত ২০০ বছরের সব রেকর্ড ভঙ্গ করে ফেলেছে।

বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের বিষয়ে সতর্ক করলেও এ বিষয়ে দেশগুলোর সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে তীব্র গরমে জনদুর্ভোগ আরও বেড়েছে।

                তথ্যসূত্র : নিউইয়র্ক টাইমস

সর্বশেষ খবর