শিরোনাম
শনিবার, ২২ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় বদলে যাচ্ছে সাংবাদিকতার ভবিষ্যৎ

টেকনোলজি ডেস্ক

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় বদলে যাচ্ছে সাংবাদিকতার ভবিষ্যৎ

চলতি বছরের শুরুতে জার্মানির সর্ববৃহৎ প্রকাশনা সংস্থা অ্যাক্সেল স্প্রিংগার মিডিয়া গ্রুপ জানিয়েছিল, চ্যাটজিপিটির মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি এক সময় সাংবাদিকদের জায়গা নিয়ে নিতে পারে। সম্প্রতি এমনটাই দেখা গেছে ভারতের ওড়িশা রাজ্যের ওটিভি নামের একটি বেসরকারি চ্যানেলে। এক ভিডিওতে দেখা গেছে, হ্যান্ডলুম শাড়ি পরা এক নারী খবর পাঠিকা হিসেবে রীতিমতো চাঞ্চল্য তৈরি করেছে। ওটিভি চ্যানেলের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখন থেকে নিয়মিত খবর পাঠ করবেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এই এআই সঞ্চালক।

গবেষকরা মনে করছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বদৌলতে আরও বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সম্ভাবনা সুস্পষ্ট হচ্ছে। স্কাই নিউজ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) মাত্রা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছে। সাংবাদিকতার ওপর যার প্রভাব গভীর হতে পারে বলে ধারণা করছে সংস্থাটি। সংবাদ লেখা ও সম্পাদনার বিষয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুচারুতা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। এ পরীক্ষায় জেনারেটিভ (শিখতে সক্ষম) এআইর অধীনে স্কাই নিউজের একজন সংবাদপাঠিকা হেনার অ্যাভাটার তৈরি করা হয়। হেনার বেশকিছু ভিডিওচিত্রের মাধ্যমে তার বাচনভঙ্গি, উচ্চারণের ধরন ছাড়াও ওই জেনারেটিভ (এআই) ব্যবস্থাকে শিক্ষিত করে তোলা হয়। ফলে কম্পিউটারে যা-ই লেখা হচ্ছিল, অ্যাভাটার তা-ই পড়ে শোনাচ্ছে। দেখে মনে হচ্ছিল, হেনা খবর পড়ছে।

সাংবাদিকতার জগতে (এআই) ব্যবহারে সময় ও শ্রম বাঁচানোর সম্ভাবনা তৈরি হলেও থাকছে ভিন্ন ঝুঁকি। যে কারও অ্যাভাটার তৈরি করে তাকে অপদস্থ করার সুযোগ তৈরি হবে। তা ছাড়া থাকছে মিথ্যা সংবাদ প্রচারের ঝুঁকি। তাই সাংবাদিকতায় এআই ব্যবহারে সতর্কতা ও বাস্তব চিন্তার মিশেল অপরিহার্য বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

জার্নালিজম এআইর পরিচালক অধ্যাপক চার্লি বেকেট জানান, ২০১৯ সালে শুরু হওয়া এ কার্যক্রম এখন আরও বেশি সময়োপযোগী হয়ে উঠছে। চার্লি বেকেট জানান, বিশ্বের স্বনামধন্য বার্তাকক্ষ এখন এআই প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে ভাবছে। যার ক্ষতিকর দিক নিয়েও সবাই সচেতন। এর মধ্যে বার্তাকক্ষে এআই ব্যবহার করে এমন দুটি সংবাদমাধ্যম দ্য আইরিশ টাইমস ও সিএনইটি। তাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার লেখা প্রতিবেদনে ত্রুটি খুঁজে পাওয়া গেছে। ফলে প্রমাণ হয়, শিগগিরই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা  প্রকৃত সাংবাদিকদের প্রতিস্থাপন করছে না। তবে বেকেটের আশঙ্কা, যদি অলস হয়ে যাই আর আশা করি, জিপিটি আমাদের গল্প ও স্ক্রিপ্ট লিখে দেবে, তাহলে সতর্কবার্তা সেগুলো আরও খারাপ কিছুর উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শেষ অবধি সাংবাদিকতায় সাংবাদিকদের জায়গা যে সংকুচিত হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

সর্বশেষ খবর