বুধবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

প্রাচীন ব্যাটারি

টেকনোলজি ডেস্ক

প্রাচীন ব্যাটারি

১৯৩০ সালে উইলহেম কনিগ একটি পেপারে উল্লেখ করেন, প্রাচীন পারস্যে বাগদাদ ব্যাটারিকে হয়তো গ্যালভানিক কোষ হিসেবে ব্যবহার করে ইলেকট্রোপ্লেটিং করা হতো। কিন্তু এই হাইপোথিসিসকে নাকচ করে দেন বিজ্ঞানীরা। অনেকে সরাসরি দ্বিমতও পোষণ করেন এই মতবাদে। ফলে বাগদাদ ব্যাটারির মূল রহস্য থেকে যায় ধোঁয়াশার আড়ালে।

১৮৬৬ সালে জর্জেস লেকল্যান্স একটি ব্যাটারি আবিষ্কার করেন। কিন্তু এর অনেক আগেই নাকি ব্যাটারি আবিষ্কার করা হয়েছিল। সময়টা ছিল ১৯৩৮ সাল; প্রত্নতাত্ত্বিক বিশেষজ্ঞরা বাগদাদের খুজুত রাবু নামক স্থানে এক বিস্ময়কর পাত্রের সন্ধান পান। যা ছিল ৫ সেন্টিমিটার। বলা হয়, পাত্রটি ছিল সিরামিক নির্মিত। এর ভিতরে একটি ধাতব নল এবং ভিন্ন ধাতুর তৈরি লৌহদন্ডের অস্তিত্ব মেলে। বিশ্লেষকরা একে প্রাচীন ব্যাটারি আখ্যায়িত করেন। ইতিহাসে এটি ‘বাগদাদ ব্যাটারি’ নামে জায়গা করে নেয়। লোহার দন্ডটি ছিল তামা দিয়ে আবৃত। ধারণানুযায়ী, তামার নলের ভিতর অম্লীয় দ্রবণ ব্যবহার করে ব্যাটারিটি সচল করা হতো। খ্রিস্টপূর্ব ২৫০ অব্দের দিকে প্রাচীন পারস্যে এমন ব্যাটারি তৈরি করা হতো। যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানী উইলার্ড গ্রেও ঝটপট বাগদাদ ব্যাটারির রেপ্লিকা তৈরি করে ফেলেন। এতে ভিনেগার ঢেলে সফলতা পান। তখন ব্যাটারিটি সচল হয়ে প্রায় ১.৫ থেকে ২.০ ভোল্ট বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে সক্ষম হয়। ১৯৩০ সালে উইলহেম কনিগ একটি পেপারে উল্লেখ করেন, প্রাচীন পারস্যে বাগদাদ ব্যাটারিকে হয়তো গ্যালভানিক কোষ হিসেবে ব্যবহার করে ইলেকট্রোপ্লেটিং করা হতো। কিন্তু এই হাইপোথিসিসকে নাকচ করে দেন বিজ্ঞানীরা। অনেকে সরাসরি দ্বিমতও পোষণ করেন এই মতবাদে। ফলে বাগদাদ ব্যাটারির মূলরহস্য থেকে যায় ধোঁয়াশার আড়ালে। পারস্যে এটি ব্যাটারি হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকলে বদলে যাবে চিরাচরিত ইতিহাস। তখন বলতে হবে, প্রায় দেড় হাজার বছর আগেই নির্মিত হয়েছিল বিশ্বের প্রথম ব্যাটারি।   

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর