শনিবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ইউটিউবের বিকল্প সাইটগুলো

ইউটিউবের বিকল্প সাইটগুলো

ইউটিউব বিশ্বের জনপ্রিয় এবং সেরা ভিডিও সাইট। দীর্ঘদিন ধরে এটাই ছিল মানুষের ভিডিও দেখার একমাত্র মাধ্যম।  তবে ইউটিউবেরও কিছু চমৎকার বিকল্প ভিডিও সাইট রয়েছে।

 

ইউটিউব বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সেরা ভিডিও স্ট্রিমিং সাইট। তবে ইউটিউবেরও কিছু চমৎকার বিকল্প ভিডিও সাইট রয়েছে। সম্প্রতি ইউটিউব প্রিমিয়াম বাজারে আসার পর ফ্রি সংস্করণে বিজ্ঞাপনের অত্যাচার অতি মাত্রায় বেড়ে গেছে। কিছু বিজ্ঞাপন স্কিপও করা যায় না। রইল ইউটিউবের বিকল্প সাইটের তথ্য...

ভিমিও (Vimeo)

বিশ্বে প্রথম হাই-ডেফিনিশন ভিডিও নিয়ে আসে ভিমিও। ব্যবহারকারীরা নিজস্ব ভিডিওগুলোও এখানে আপলোড করতে পারেন। তবে ভিডিও বরাবরই হাই-ডেফিনিশন কন্টেন্টে জোর দিয়ে থাকে। ভিমিও প্ল্যাটফরমে ৩৬০ ডিগ্রি ভিডিও আপলোড সুবিধার পাশাপাশি দেখার জন্য কিছু টেলিভিশন সিরিজও পাওয়া যায়।

 

ডেইলিমোশন (Dailymotion)

ইউটিউব চালুর মাস খানেকের মধ্যে অনলাইনে  আসে ডেইলিমোশন। সিএসআই ম্যাগাজিনের তথ্য অনুযায়ী, ইউটিউবের সবচেয়ে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছে এই সাইট। এখানে আপলোড করা ভিডিও রয়েছে, বিনামূল্যে উপভোগ করা যায়। এর ইন্টারফেস ও ব্যবহারের অভিজ্ঞতা অনেকটা ইউটিউবের মতোই।

 

প্লেইয়ার (Playeur)

অনলাইন ভিডিও প্ল্যাটফরমের জগতে প্লেইয়ার অপেক্ষাকৃত নতুন একটি সাইট। যার আগের নাম ইউট্রিওন। ২০১৯ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। অন্যান্য ভিডিও সাইটের তুলনায় এটি কিছুটা আলাদা, কারণ এই প্ল্যাটফরমে ভিডিও আপলোডের নীতিমালা তুলনামূলকভাবে শিথিল। বিশেষত, ইউটিউবের তুলনায় এর বিধিনিষেধ অনেক কম। চাইলে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওগুলো আপনার প্লেইয়ার প্রোফাইলে ইমপোর্ট করে নিয়ে আসতে পারবেন; আবার নতুন করে আপলোডের প্রয়োজন ছাড়াই। এটি ইউটিউবের একটি এক্সটেনশনের মতো কাজ করে।

 

দ্য ইন্টারনেট আর্কাইভ (The Internet Archive)

দ্য ইন্টারনেট আর্কাইভ একটি ওয়েবভিত্তিক লাইব্রেরি। এখানে বই, মিউজিক, সফটওয়্যার ও সিনেমা- সব ধরনের কনটেন্ট বিনামূল্যে পাবেন। এখানে প্রচুর ঐতিহাসিক ভিডিও কন্টেন্টও রয়েছে। যদিও এখানে নতুন কনটেন্টও পাওয়া যায়, কিন্তু এর সবচেয়ে সেরা দিক হলো পুরনো ভিডিওগুলো। যেগুলোর মধ্যে আপনি বিভিন্ন ঐতিহাসিক সংবাদ প্রতিবেদন, টিভি সিরিজ ও চলচ্চিত্রও খুঁজে পাবেন।

 

টুইচ (Twitch)

অনলাইনের অন্যতম সেরা লাইভ-স্ট্রিমিং প্ল্যাটফরম টুইচ। এখানে ১৪ কোটিরও বেশি ব্যবহারকারী রয়েছে। সঙ্গে রয়েছে লাখো ভিডিও স্ট্রিমার। টুইচ প্ল্যাটফরমে যেকোনো বিষয়ের ওপর আপনি লাইভ স্ট্রিমিং করতে পারবেন। শুরুতে মূলত গেমাররা এই প্ল্যাটফরম ব্যবহার করলেও এখন প্রায় সব ধরনের বিষয়ের ওপরই লাইভ স্ট্রিম কনটেন্ট পাওয়া যায় টুইচে।

দ্য ওপেন ভিডিও প্রজেক্ট

এটি মূলত গবেষকদের জন্যে তৈরি। বিশেষ করে যারা মাল্টিমিডিয়া ও ডিজিটাল লাইব্রেরি নিয়ে কাজ করেন তাদের কথা মাথায় রেখে এটি চালু করা হয়। যার ফলে দ্য ওপেন ভিডিও প্রজেক্টের বেশির ভাগ ভিডিওই শিক্ষামূলক। এখানে নাসার আর্কাইভ থেকেও অনেক ভিডিও এবং ৫০ এর দশকের ক্ল্যাসিক টিভি বিজ্ঞাপন ও শিক্ষামূলক চলচ্চিত্রের সংগ্রহও রয়েছে।

 

৯গ্যাগ (9GAG)

মজাদার সব কন্টেন্টের বিশাল এক সংগ্রহশালা নাইনগ্যাগ বা ৯ গ্যাগ। যেখানে বিভিন্ন হাসির ভিডিও, মিম, অ্যানিমে, পপ কালচারের মতো বিষয়গুলোর ওপর বিভিন্ন বিনোদনমূলক কনটেন্ট রয়েছে। তবে টিভি সিরিজ বা মুভির স্পয়লার প্রচার নিয়ে দুর্নাম রয়েছে। এ বিষয়টি মাথায় রেখেই ৯ গ্যাগ ব্যবহার করা উচিত।

 

টেড টকস (TED)

টেড টকস প্রথাগত ভিডিও সাইট নয়। এতে প্রযুক্তি, বাণিজ্য, স্থাপত্য, বিজ্ঞান ও বৈশ্বিক সমস্যার মতো বিভিন্ন বিষয়ে ৩ হাজার ৫০০টিরও বেশি আলোচনা এবং বক্তৃতা পাবেন। এছাড়া টেড টকস প্রতি সপ্তাহেই পাঁচ থেকে সাতটি নতুন আলোচনা আপলোড করে। দৈনন্দিন জীবনের নানা সমস্যা থেকে শুরু করে বিচিত্র এবং বিবিধ বিষয়ে আলোচনা এখানে পাবেন। যার বেশির ভাগই বেশ শিক্ষামূলক।

 

ডিটিউব (DTube)

এর পূর্ণরূপ ডিসেন্ট্রালাইজড টিউব। এটি ইউটিউবের মতোই একটি ভিডিও সাইট। তবে এর ভিডিওগুলো নির্দিষ্ট কেন্দ্রীয় সার্ভার থেকে হোস্ট করা হয় না। পরিবর্তে পুরো সাইটটি ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করে কাজ করে। ব্যবহারকারীরা এখানে ভিডিও পোস্টের মাধ্যমে ক্রিপ্টোকারেন্সি উপার্জন করতে পারেন।

 

ফেসবুক ওয়াচ (Facebook Watch)

ইউটিউবের মতোই ফেসবুক ওয়াচের পছন্দের সব ভিডিও দেখা যায়। এখানে টিভি সিরিজের পাশাপাশি নানা বিষয়ে ভিডিও ক্লিপস দেখতে পাবেন। তবে ইউটিউবের তুলনায় এখানে কনটেন্ট খুঁজে পাওয়া একটু কঠিন। ছোট দৈর্ঘ্যরে ভিডিওর জন্য সাম্প্রতিক সময়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছে ফেসবুক রিলস।

 

সূত্র: কিন্সটা ও অলটার্নেটিভ টু

সর্বশেষ খবর