বলা হয়, ২০২৩ সাল হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-এআই) বছর। কেননা বছরটিতে এই প্রযুক্তিটির অকল্পনীয় উন্নতি সাধন করেছে। যার মধ্যে রয়েছে- গুগল, টুইটার (বর্তমানে এক্স) মাইক্রোসফট ইত্যাদি। প্রত্যেকটি সংস্থাই নতুন নতুন চমক নিয়ে হাজির হয়েছে মানুষের কাছে। ব্যক্তিগত স্তরে এবং ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে একাধিক সুবিধা দিতে চলেছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। সেই সঙ্গে বিশ্বজুড়ে একে ঘিরে তৈরি হয়েছে উত্তেজনা। ছিল নানা উৎকণ্ঠাও। বিশেষত চাকরি ক্ষেত্রে মানুষের জায়গা দখল করে নিচ্ছে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। তবে এসব উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মাঝে থেমে নেই গবেষণা এবং উদ্ভাবনের কাজ।

গুগল বার্ড ও জেমিনি : জেনারেটিভ এআইর ব্যবহার বাড়তে শুরু করলে গুগল নিয়ে আসে নতুন চ্যাটবট-বার্ড। পরীক্ষা-নিরীক্ষা অনেক দিন ধরে চললেও বছরের শেষের দিকে লঞ্চ হয় বার্ড। ফিচারে ঠাসা এই চ্যাটবটের নতুন চমক জেমিনি। এটি একটি শক্তিশালী ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল। যার মাধ্যমে একাধিক শক্ত কাজ করাতে পারবেন ব্যবহারকারীরা।

জিপিটি-৪ : এটি একটি ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল। যা জিপিটি ৩.৫-কে প্রতিস্থাপন করেছে। মানুষের মতো কাজ করতে পারে এই ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল, দাবি সংস্থার। প্রফেশনাল কাজের পাশাপাশি একাডেমিক ক্ষেত্রেও সমান দক্ষ এই মডেল। যে কারণে বিশ্বজুড়ে দ্রুত বাড়ছে চ্যাটজিপিটি-৪-এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা।

ডাল-ই ৩ : যে সংস্থা চ্যাটজিপিটি তৈরি করেছে অর্থাৎ ওপেনএআই। তারাই নিয়ে এসেছে টেক্স-টু-ইমেজ সফটওয়্যার ডাল-ই ৩। সংস্থার কথায়, ডাল-ই ৩ এবার থেকে চ্যাটজিপিটির সঙ্গে কাজ করবে। অর্থাৎ এই টুলে প্রম্পট দিয়েও ছবি তৈরি করতে পারবেন ইউজাররা। তবে এটি ব্যবহার করার জন্য চ্যাটজিপিটি প্লাস সাবস্ক্রিপশন নিতে হবে।

গ্রুক এআই : গুগল, মাইক্রোসফটের পাল্লায় শামিল হয়েছেন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা হিসেবে বিশ্বজুড়ে পরিচিত ইলন মাস্ক। ২০২৩ সালের শেষের দিকে তিনি লঞ্চ করেন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংস্থা এক্সএআই, যা গুগল এবং ওপেনএআইকে টেক্কা দেবে বলে দাবি করেছেন তিনি। টুইটার (বর্তমানে এক্স) প্ল্যাটফরমে ডেটা বিশ্লেষণ করে রিয়েল টাইম রেজাল্ট দেবে গ্রুক এআই।

তথ্যসূত্র : সিএনবিসি