মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

কোনটি সেরা : আাইফোন ১৫ প্রো নাকি স্যামসাং গ্যালাক্সি জেড ফ্লিপ ফাইভ

কোনটি সেরা : আাইফোন ১৫ প্রো নাকি স্যামসাং গ্যালাক্সি জেড ফ্লিপ ফাইভ

বাজারে অ্যাপল ও স্যামসাংয়ের দুটি ফোনই পাওয়া যাচ্ছে। দামও কাছাকাছি। ক্রেতা হিসেবে কোনটা কিনবেন, সে সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তার জন্য এ লেখায় থাকছে একটি তুলনামূলক বিশ্লেষণ...

 

ডিজাইন : গ্যালাক্সি জেড ফ্লিপ ফাইভের ফোল্ডেবল ডিজাইন সহজে বহনযোগ্য। অন্যদিকে, আইফোন ১৫ প্রোর সুবিধাজনক বহনযোগ্যতার পাশাপাশি রয়েছে টাইটানিয়াম বডি। জেড ফ্লিপ ফাইভে প্রাইমারি ডিসপ্লের প্লাস্টিক শিল্ডের আবরণে রয়েছে আলট্রা-থিন গ্লাস এবং বাইরের স্ক্রিনে গরিলা গ্লাস ভিকটাস প্লাস। আর আইফোনের অন্য মডেলের মতো এবারও ডিসপ্লে সুরক্ষার জন্য থাকছে সিরামিক শিল্ড। এ ছাড়া জেড ফ্লিপ ফাইভে ব্যবহার করা হয়েছে পানি নিরোধক আইপিএক্স এইট রেটিং, আইফোন ১৫ প্রোতে থাকছে পানি ও ধূলিকণা প্রতিরোধক আইপি সিক্সটি এইট। অ্যাপলের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ফিচারের মধ্যে রয়েছে ইউএসবি-সি পোর্টের ব্যবহার এবং প্রোগ্রামেবল অ্যাকশন বাটন।

ডিসপ্লে : যাদের বড় স্ক্রিন পছন্দ তাদের জন্য আইফোনের ৬ দশমিক ১ ইঞ্চি ডিসপ্লের চেয়ে ফ্লিপ ফাইভের ৬ দশমিক ৭ ইঞ্চির ডিসপ্লে ভালো লাগতে পারে। আইফোন ১৫ প্রো-এর সুপার রেটিনা এক্সডিআর ওলেড ডিসপ্লেতে পাওয়া যাবে উজ্জ্বল রং এবং গাঢ় কনট্রাস্ট। অন্যদিকে, জেড ফ্লিপ ফাইভে রয়েছে ডায়নামিক অ্যামোলেড ডিসপ্লে। ফোনটিতে পাওয়া যাবে এইচডিআর টেন প্লাসের উজ্জ্বলতা।

বায়োমেট্রিক নিরাপত্তা : এ ক্ষেত্রে দুই ফোনে রয়েছে ভিন্নধর্মী ফিচার। গ্যালাক্সি জেড ফ্লিপ ফাইভে থাকছে সাইড-এমবেডেড ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার আর আইফোন আগের মডেলের মতো ১৫ প্রোতেও করেছে ফেস আইডির ব্যবহার।

চিপসেট ও পারফরম্যান্স : আইফোন ১৫ প্রোতে ব্যবহার করা হয়েছে অ্যাপলের এ সেভেনটিন বায়োনিক চিপ। এটির থ্রিএনএম প্রযুক্তি ফোনের কর্মক্ষমতা অনেকাংশেই বৃদ্ধি করবে বলে বিশ্লেষকরা মত দিয়েছেন। আর গ্যালাক্সিতে ব্যবহৃত কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন এইট জেন টুতে রয়েছে ফোরএনএম প্রযুক্তি, যা আকর্ষণীয় হলেও পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রে অ্যাপলের চিপ থেকে কিছুটা পিছিয়ে থাকবে।

র‌্যাম ও স্টোরেজ : স্টোরেজের ক্ষেত্রে ১২৮ জিবি থেকে ১ টিবি পর্যন্ত অপশন রয়েছে আইফোন ১৫ প্রোতে। আর জেড ফ্লিপ ফাইভ পাওয়া যাবে ২৫৬ জিবি এবং ৫১২ জিবি ভ্যারিয়েন্টে। উভয় ফোনেই রয়েছে ৮ জিবি র‌্যাম। তবে উন্নত র‌্যাম ব্যবস্থাপনায় বেশি মাল্টি টাস্কিংয়ের সুবিধা পাওয়া যাবে আইফোনে।

ক্যামেরা : আইফোন ১৫ প্রো-এ ৪৮ মেগাপিক্সেলের প্রাইমারি ক্যামেরা। এ ছাড়া রয়েছে একটি ১২ মেগাপিক্সেলের আলট্রাওয়াইড ক্যামেরা এবং ১২ মেগাপিক্সেলের টেলিফটো লেন্স ক্যামেরা। জেড ফ্লিপ ফাইভ ক্যামেরার ক্ষেত্রে ততটা উন্নত না হলেও এতে আছে ১২ মেগাপিক্সেলের ডুয়াল ক্যামেরা ও সেলফি অপটিমাইজড রিয়ার-ফেসিং ক্যামেরা সেটআপ।

ব্যাটারি : ৩২৭৪ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি হলেও, আইফোন ১৫ প্রোতে আছে অপটিমাইজড সফটওয়্যার এবং এ সেভেনটিন প্রো সিপিইউ। যা গ্যালাক্সি জেড ফ্লিপ ফাইভের ৩৭০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারিকেও ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা যায়। তবে ফ্লিপ ফাইভের কভার স্ক্রিনের ব্যবহারে কম শক্তি ব্যয় হওয়ায় ব্যাটারির স্থায়িত্ব বাড়াবে।

সর্বশেষ খবর