শনিবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

মোবাইল গেমে এগিয়ে অ্যান্ড্রোয়েড নাকি আইফোন!

মোবাইল গেমে এগিয়ে অ্যান্ড্রোয়েড নাকি আইফোন!

স্মার্টফোনের গেমিং প্রশ্নে অ্যান্ড্রয়েড না আইফোন- কে সেরা? যা নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। গেমিং খাতে আইওএস, অ্যান্ড্রয়েড উভয় প্লাটফরমেরই শক্তিশালী ও দুর্বল দিক রয়েছে। এ জন্য দুটি প্ল্যাটফরম সম্পর্কেই জানতে হবে এবং এজন্য বেশ কিছু বিষয়ও রয়েছে।

গেম লাইব্রেরি : এদিক থেকে আইফোন এগিয়ে। অ্যান্ড্রয়েড ও আইফোনের স্টোরের মধ্যে ভিন্নতা রয়েছে। প্রতি বছর অ্যাপল তিন থেকে চারটি আইফোন উন্মোচন করে থাকে। এ কারণে ডেভেলপারদের জন্য গেম ডেভেলপ সহজ হয়। অন্যদিকে বছরে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম চালিত শতাধিক ডিভাইস বাজারজাত করা হয়। ফলে সব ডিভাইসের জন্য গেমের উন্নয়ন সময়সাপেক্ষ হয় না।

নানা উৎসের অ্যাপ ব্যবহার : অ্যান্ড্রয়েডের অন্যতম বড় সুবিধা হচ্ছে ব্যবহারকারীরা যেকোনো উৎস বা ওয়েবসাইট থেকে অ্যাপ ডাউনলোড এবং ব্যবহার করতে পারে। এদিক থেকে অন্যতম উদাহরণ ফোর্টনাইট গেম। অ্যাপলের সঙ্গে বিরোধ থাকায় এপিক গেমস অ্যাপস্টোরে গেমটি ছাড়তে নারাজ। কিন্তু অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা চাইলে এটি ডাউনলোড করে খেলতে পারবে।

গেম নির্মাতা কোম্পানির সাপোর্ট : এত দিন পিছিয়ে থাকলেও অ্যাপল এখন বিখ্যাত গেম নির্মাতা কোম্পানিগুলোর সাপোর্ট যুক্ত হচ্ছে। আইফোন ১৫ প্রোতে ডেথ স্ট্রান্ডিং ও রেসিডেন্ট ইভিল ফোরসহ বিভিন্ন গেম খেলার সুবিধা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে অ্যাপল। কোম্পানিটির দাবি, এ১৭ প্রো চিপসেটে বিভিন্ন পরিবর্তনের কারণে কনসোল গ্রেড গেমগুলো খেলা যাবে। বিশ্লেষকদের মতে, অ্যাপল যদি আইওএসে আরও গেম টাইটেল যুক্ত করতে পারে তাহলে ব্যবহারকারীদের জন্য পকেট সাইজ কনসোল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে।

ডিভাইসে সুবিধা ও ফিচার : গেমিং কম্পিউটার বা ল্যাপটপের মতো স্মার্টফোনে লম্বা সময় গেম খেলার জন্য বিভিন্ন সহায়ক ফিচার প্রয়োজন। এর মধ্যে রয়েছে কুলিং সিস্টেম, গেমপ্যাডের মতো ট্রিগার ও অতিরিক্ত পোর্ট। এদিক থেকে অ্যান্ড্রয়েড অনেক এগিয়ে। আইফোনে যে গেম খেলা যাবে না বা গেম চলবে না তেমন কিছু বলা হচ্ছে না। তবে গেমিংয়ে ভালো অভিজ্ঞতা চাইলে অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসেই ভরসা রাখতে হবে বলে অভিমত বিশ্লেষকদের।

তথ্যসূত্র : টেক ওয়ার্ল্ড

সর্বশেষ খবর