শনিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

ভয়েস ক্লোনিং বুঝবেন যেভাবে

টেকনোলজি ডেস্ক

ভয়েস ক্লোনিং বুঝবেন যেভাবে

অনলাইনে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কৌশল হিসেবে তাই প্রতারকরা ‘ভয়েস ক্লোনিং’ প্রযুক্তির দিকে হাত বাড়াচ্ছে। হুবহু যে কারও গলা নকল করে আপনার সঙ্গে কথা বলতে পারে এআই। প্রতারকরা আপনার পরিচিত কারও গলা নকল করে আপনার কাছে টাকা বা পাসওয়ার্ড চাইতে পারে। আপনিও বিশ্বাস করে টাকা দিয়ে দিলেন। তবে একটু সতর্ক থাকলেই কিন্তু ভয়েস ক্লোনিং কি না তা বুঝতে পারবেন।

অপ্রত্যাশিত কল : পরিচিতদের গলা নকল করলেও সাধারণত ঠিক কখন প্রিয়জন বা বন্ধুরা ফোন করে তা জানতে পারে না প্রতারকরা। তাই আপনি যদি আত্মীয় বা কোনো বন্ধু থেকে অপ্রত্যাশিত কল পান তাহলে সাবধান থাকতে হবে। ভুল সময়ে ঘন ঘন ফোন এলেই সতর্ক হোন।

জরুরি অনুরোধ : দয়া করে টাকা পাঠাবেন, ইমার্জেন্সি, খুব দরকার- এ ধরনের শব্দ শুনতে পেলে সাবধান। ইমার্জেন্সির নাম করে আপনার ওপর চাপ বাড়াতে পারে জালিয়াতরা। দ্রুত টাকা পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হবে। এমন পরিস্থিতিতে তার পরিচয় যাচাই না করা পর্যন্ত কোনো লেনদেন করা উচিত নয়।

গলা হুবহু এক হলেও বলার ধরন আলাদা : হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে টার্গেট ব্যক্তির আওয়াজ চুরি করে ভয়েস ক্লোনিংয়ের জন্য ব্যবহার করা হয়। কিন্তু সেই ব্যক্তির বলার ধরন জানতে পারে না। এ আওয়াজে রোবোটিক সাউন্ড পেতে পারেন, ভুল উচ্চারণ এবং বলার ধরন আলাদা লাগতে পারে। এমন কিছু হলেই বুঝবেন আপনি বাস্তবে কারও সঙ্গেই কথা বলছেন না। প্রযুক্তির মাধ্যমে এআই ভয়েস ক্লোনিং করা হয়েছে। এক্ষেত্রেও দ্রুত সতর্ক হতে হবে।

টাকা বা ব্যক্তিগত তথ্য চাইবে : অধিকাংশ ক্ষেত্রে এআই ভয়েস ক্লোনিংয়ের মাধ্যমে টাকা হাতানো এবং ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করার সুযোগে থাকে জালিয়াতরা। এই পরিস্থিতিতে কখনোই নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর, এটিএম কার্ড নম্বর, ইউপিআই পিন, ওটিপি এবং পাসওয়ার্ড শেয়ার করবেন না। বৈধ সংস্থা বা নিকট আত্মীয় কখনোই আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর, এটিএম নম্বর এবং ইউপিআই পিন চাইবে না। সেই নম্বর অবিলম্বে রিপোর্ট করুন এবং ব্লক করে দিন।

সর্বশেষ খবর