শনিবার, ২৫ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

ব্লু-টুথ থেকেও হতে পারে বিপদ!

ব্লু-টুথ থেকেও হতে পারে বিপদ!

স্মার্টফোনে ব্লু-টুথ প্রযুক্তি সহজলভ্য। অনেকেই সারাক্ষণ ব্লু-টুথ চালু রাখেন। কিন্তু সারাক্ষণ ব্লু-টুথ চালু রাখলে নানা রকম বিপদের আশঙ্কা থাকে। ব্যক্তিগত তথ্য ও গোপনীয় তথ্য চুরি থেকে শুরু করে ডিভাইসের দখল নেওয়ার মতো কাজ করে বসতে পারে দুর্বৃত্তরা। এর বহুমাত্রিক ব্যবহারের কারণে নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। নিরাপত্তা ঝুঁকি তার মধ্যে অন্যতম। তাই ব্লু-টুথ ব্যবহারে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

 

প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ম্যাশেবলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অনেকেই ব্লু-টুথ ব্যবহার করছেন। কিন্তু আসলে ব্লু-টুথ ব্যবহার করা ঠিক নয়। এখন ফোন, স্মার্ট স্পিকার, গাড়ি, ভাইব্রেটর, টোস্টারের মতো যন্ত্রে ব্লু-টুথ সুবিধা থাকে। নিরাপত্তা ও প্রাইভেসি বিবেচনায় ব্লু-টুথ ব্যবহার বিপদের কারণ হয়ে উঠতে পারে।

♦  ‘ব্লুজ্যাকিং’ হলো সাইবার আক্রমণের অন্যতম রূপ। যেখানে অপরিচিত ব্যক্তিরা ব্লু-টুথ সংযোগ ডিভাইসে অনুপ্রবেশ করে অযাচিত মেসেজ বা ফাইল শেয়ার করে। যার মাধ্যমে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন ও সংবেদনশীল তথ্য অন্যদের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়।

♦  ব্লু-টুথ ডিভাইস থেকে ডেটা অননুমোদিত ব্লুস্নার্ফিং পদ্ধতিতে হাতিয়ে নেওয়া হয়। যার মধ্যে মেসেজ বা মাল্টিমিডিয়া ফাইল অন্তর্ভুক্ত। সংযুক্তরা বিষয়টি থেকে একেবারেই অজ্ঞ। ফলে সম্পূর্ণ তথ্য পাওয়া যায় না।

♦  ব্লুবাগিং হলো সাইবার হামলার আরেকটি আধুনিক রূপ। যেখানে হ্যাকাররা ব্লু-টুথ ডিভাইসের নিয়ন্ত্রণ নেয়। ফলে ব্যবহারকারীর অনুমতি ছাড়াই কল ও মেসেজে অনুপ্রবেশ করে তথ্য সংগ্রহ করে হ্যাকাররা।

 

গবেষকরা বলেন, স্মার্টফোনে সারাক্ষণ ব্লু-টুথ চালু রাখলে সম্ভাব্য হ্যাকিংয়ের ঝুঁকির পাশাপাশি তা অপব্যবহারের আশঙ্কা বেড়ে যায়। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ব্লু-টুথ যতটা সম্ভব বন্ধ রাখতে হবে। এ ছাড়া কোনো ডিভাইস ঝুঁকিপূর্ণ মনে হলে তার সঙ্গে যুক্ত হওয়া ঠিক হবে না। প্রয়োজন শেষ হলে ব্লু-টুথ অপশন বন্ধ রাখতে হবে। যারা ব্লু-টুথ স্পিকার বা হেডফোন ব্যবহার করেন,  তাদের জন্য তারযুক্ত হেডফোন ভালো।

 

তথ্যসূত্র : নিউইয়র্ক টাইমস

সর্বশেষ খবর