সোমবার, ৩ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

কিউআর কোড এর সুবিধা-অসুবিধা

দিন দিন বাড়ছে কিউআর কোডের ব্যবহার। কভিড-১৯ মহামারির কল্যাণে আরও বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে স্পর্শহীন প্রযুক্তিটি। আজ রইল প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিটির আদ্যোপান্ত...

টেকনোলজি ডেস্ক

কিউআর কোড এর সুবিধা-অসুবিধা

’৬০-এর দশকের পর বিশ্ববাসী দেখেছে চীন-জাপান শিল্পবিপ্লব। প্রচুর কারখানা তৈরি হচ্ছিল, সেখানে তৈরি হচ্ছিল প্রচুর ডিজিটাল পণ্য। এত এত পণ্যের তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং সমন্বয় ছিল কষ্টসাধ্য একটি কাজ। তখন এসব তথ্য ম্যানুয়ালি ইনপুট করা হতো। যার ফলে আলাদা করে প্রচুর সময় ব্যয় হচ্ছিল। ততদিনে যুক্তরাষ্ট্রে বারকোডের আবিষ্কার হয়ে গেছে। বারকোড স্ক্যান করেও তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব ছিল। তবে তাতে শুধু ২০টি অক্ষরই সংরক্ষণ করা সম্ভব ছিল। ডাটার পরিমাণের দিক থেকে তা ছিল খুবই সামান্য। বারকোডের আইডিয়া নিয়েই নতুনভাবে তৈরি হয় কিউআর কোড। ১৯৯৪ সালে জাপানি ইঞ্জিনিয়ার মাশাহিরো হারা আবিষ্কার করেন ৪ কোনা বক্সের সাদা কালো পিক্সেলে ভরা স্কানেবল কিউআর কোড। যার ফলে আগের বারকোডের চেয়ে ১০ গুণ বেশি দ্রুত এবং অধিক তথ্যও সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়।

 

কিউআর কোড কী?

QR Code-এর পূর্ণাঙ্গ রূপ Quick Response Code। দ্রুততার সঙ্গে কিউআর কোডের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ (ডাটা এনকোড) করা যায় বলে এ নাম। এ কোড হলো সাদাকালো কিছু পিক্সেলে ভরা একটি বর্গাকার বাক্স, যার মধ্যে সংরক্ষণ করা যায় প্রায় ৭ হাজার অক্ষর বা সংখ্যা। কোডটি স্ক্যান করলেই পাওয়া যাবে সব তথ্য। বিভিন্ন প্রকার তথ্য সংরক্ষণে কিউআর কোড ব্যবহার করা হয়।

কিউআর কোডের ব্যবহার

প্লেনের টিকিট থেকে শুরু করে অ্যাপ ডাউনলোড আজকাল কিউআর কোডের ব্যবহার হয়। এর নানা ধরনের ব্যবহারের মধ্যে আছে, কোনো পণ্যের তথ্য যাচাই, ওয়াইফাই কানেক্ট করতে অথবা কারও মোবাইল নম্বর নিতে এ কোড ব্যবহার করা হয়। যেমন- পত্রিকায় কোনো ফোনের বিজ্ঞাপন দিলে তার পাশে কিউআর কোড দেওয়া হয়। কোডটি স্ক্যান করলে যে কেউ ওই ফোনের বিজ্ঞাপন ভিডিওটি দেখতে পারে। তখন একই সঙ্গে দুই ভাবে পণ্যের প্রচার করা সম্ভব হয়।

অ্যাকাউন্ট ইনফরমেশন

ফেসবুক, টুইটারসহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্ট ইনফরমেশন আর লিখে দেওয়া লাগে না। চাইলেই সব তথ্য একটি কিউআর কোডে নিয়ে আসা যায়। পরে তা স্ক্যান করলে সঙ্গে সঙ্গে ওই ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট সামনে চলে আসে। মেসেঞ্জার বা হোয়াটসঅ্যাপে আজকাল আগে থেকেই প্রোফাইল কিউআর কোড তৈরিই করা থাকে। 

প্রোডাক্ট প্যাকেজিং

একটি পণ্যের অনেক উপাদান থাকে, যা সব হয়তো প্যাকেটের গায়ে লেখা সম্ভব হয় না। তখন পণ্যের গায়ের কিউআর কোড স্ক্যান করলে ওই পণ্য সম্পর্কিত সব তথ্য পাওয়া যায়।

নিরাপত্তা

কিউআর কোডে যেহেতু ব্যক্তিগত তথ্য বা পাসওয়ার্ড ইনপুট দেওয়া সম্ভব। তাই যে কোনো স্থানে ম্যানুয়ালি পাসওয়ার্ড দেওয়ার বদলে কিউআর কোড ব্যবহার করা দ্রুত ও নিরাপদ।

কিউআর কোড কি নিরাপদ?

কোনো কিউআর কোড হ্যাক করা সম্ভব নয়। তবে হ্যাকার ভুয়া ওয়েবসাইটের লিংক দিয়ে কোড তৈরি করতে পারে। যা থেকে লোকেশন ট্র্যাক বা অ্যাকাউন্টের তথ্য চুরি হতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞদের মতে, কোনো কিউআর কোড স্ক্যান করার আগে তার সূত্র যাচাই করে নিতে হয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর