বুধবার, ২৬ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

পৃথিবীর উত্তরতম দ্বীপ যেভাবে আবিষ্কার হয়

টেকনোলজি ডেস্ক

পৃথিবীর উত্তরতম দ্বীপ যেভাবে আবিষ্কার হয়

নতুন দ্বীপটির বিস্তার ৩০ মিটার। জলস্তর থেকে দ্বীপের সর্বোচ্চ উচ্চতা তিন মিটার। বরফের তলায় মাটি এবং পাথর আছে। হিমবাহবাহিত মাটি এবং  পাথর দিয়ে দ্বীপটি তৈরি বলে মনে করা হচ্ছে। ছোট্ট দ্বীপটি খুব বেশি দিন আগে তৈরি নয় বলেই গবেষকদের ধারণা

 

পৃথিবীর উত্তরতম দ্বীপ যেভাবে আবিষ্কার হয়

কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক উত্তর মেরুর ভূপ্রকৃতি নিয়ে গবেষণার কাজে ওই অঞ্চলে গিয়েছিলেন। সেখানে কাজ করার সময় জিপিএস-এর ভুলে তারা একটি দ্বীপে গিয়ে পৌঁছে যান। তাদের ধারণা ছিল, তারা উদাক দ্বীপে এসে পৌঁছেছেন। এত দিন ওই দ্বীপটিকেই উত্তর মেরুর সবচেয়ে উত্তরের দ্বীপ বলে ধরে নেওয়া হতো। ১৯৭৮ সালে আরেকটি ড্যানিশ গবেষক দল ওই দ্বীপটি আবিষ্কার করেছিল। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই অভিযাত্রীরা বুঝতে পারেন, তাদের জিপিএস ভুল রিডিং দিচ্ছে। তারা উদাক দ্বীপ থেকেও প্রায় ৭৮০ মিটার উত্তর-পশ্চিমে চলে এসেছেন এবং সেখানে এখন পর্যন্ত কোনো দ্বীপের সন্ধান মেলেনি। গবেষকরা বুঝতে পারেন, ভুলক্রমে তারা এক যুগান্তকারী আবিষ্কার করে ফেলেছেন।

নতুন দ্বীপের গঠন : নতুন দ্বীপটির বিস্তার ৩০ মিটার। জলস্তর থেকে দ্বীপের সর্বোচ্চ উচ্চতা তিন মিটার। বরফের তলায় মাটি এবং পাথর আছে। হিমবাহবাহিত মাটি এবং পাথর দিয়ে দ্বীপটি তৈরি বলে মনে করা হচ্ছে। ছোট্ট দ্বীপটি খুব বেশিদিন আগে তৈরি নয় বলেই গবেষকদের ধারণা। তবে আরও গবেষণা প্রয়োজন বলে তারা জানিয়েছেন। ভূবিজ্ঞানীরা তখনই কোনো স্থলভাগকে দ্বীপের স্বীকৃতি দেন, যখন ভরা জোয়ারেও তা পানিতে তলায় যায় না। এই দ্বীপটির সে বৈশিষ্ট্য আছে বলে মনে করা হচ্ছে।

গবেষকদের বক্তব্য : কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক এবং ওই অভিযাত্রী দলটির প্রধান মর্টেন রাচ সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমরা ভুল করে ওই দ্বীপে পৌঁছে গিয়েছিলাম। জিপিএস ভুল সিগন্যালের জন্য। কিন্তু আমরা একটি নতুন দ্বীপ আবিষ্কার করতে পেরেছি। আমরা খুশি।’ ওই গবেষক দলটিকে স্পনসর করছিলেন এক সুইস ব্যবসায়ী। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, ‘উদাক দ্বীপ ভেবেই সবাই ওখানে গিয়েছিলেন। গিয়ে দেখা যায়, এক নতুন দ্বীপ।’ 

সর্বশেষ খবর