শিরোনাম
সোমবার, ১ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

ঝড়-বৃষ্টির সময় ফোন ব্যবহারে সত্যিই ঝুঁকি আছে?

অনেকের ধারণা, খারাপ আবহাওয়ায় ফোন ব্যবহারে বজ্রপাতের আশঙ্কা বেড়ে যায়। জেনে রাখা ভালো- বজ্রপাতের ঘটনার সঙ্গে স্মার্টফোনের কোনো সম্পর্ক নেই। অনেক সময় ফোনে নেটওয়ার্ক অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে আসে, তাই এর সঙ্গে কোনো সংযোগ থাকে না। তখন তারযুক্ত ফোন ব্যবহার করার কথা ছিল না, তাই আগের সময়ে এগুলো বেশ সাধারণ ছিল।

 

বজ্রপাত নিয়ে বিশেষজ্ঞরা সচেতনতার ক্ষেত্রে বলে থাকেন, যেখানে ফাঁকা জায়গা ও গাছপালা, সেখানে বেশি বজ্রপাত হয়। একই সময়ে, বৈদ্যুতিক খুঁটি, জলের জায়গা এবং বড় ধাতব কাঠামোর কাছে বজ্রপাতের আশঙ্কা বেশি। বিদ্যুৎ এবং তারের সঙ্গে সম্পর্কিত জিনিসগুলোতে বজ্রপাতের ঘটনা বেশি ঘটে। উচ্চতা এবং তীক্ষ আকৃতি বজ্রপাতের প্রধান কারণ। এ ছাড়া কার ওপর বজ্রপাত বেশি হয় এবং কখন এটি বেশি আঘাত করে এমন প্রশ্নগুলো নিয়ে এখনো গবেষণা চলছে। এ বিষয়ে এখনো অনেক প্রশ্ন রয়েছে।

 

বিজ্ঞান বলছে, প্রতিটি পরমাণুর ধনাত্মক এবং ঋণাত্মক চার্জ থাকে এবং ঘর্ষণে তাদের ক্ষতি যে কোনো উপাদানে হ্রাস পায়। তবে যদি একটি পরমাণুতে ধনাত্মক এবং ঋণাত্মক চার্জ সমান হয় তবে কোনো সমস্যা নেই। আকাশে যখন মেঘ তৈরি হয়, তখন বরফ, পানি এবং বায়ু একে অপরের বিরুদ্ধে ঘষে, তখন কিছু মেঘের নিচের অংশে আরও ঋণাত্মক চার্জ জমা হয়। কিছু মেঘে ধনাত্মক চার্জ জমা হয়। যখন উভয় প্রকার চার্জসহ মেঘ একে অপরের বিরুদ্ধে ঘষে, তারা মিলিত হলে লাখ লাখ ভোল্ট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। এই ঋণাত্মক চার্জ মাটির দিকে আসে বজ্রপাত হিসেবে। ধারণা মতে, মেঘ থেকে যখন বজ্রপাত মাটিতে আসে তখন এর ভোল্টেজ কোটিতে থাকে। যখনই বিদ্যুৎ মাটির দিকে আসে, এই পথটিকে বলা হয় স্টেপ লিডার। তাই সচেতনতাই সর্বোত্তম পন্থা। বজ্রপাতের সময় খোলা জায়গা, বাড়ির ছাদ, গাছতলা, পুকুর ঘাট এড়িয়ে চলতে হবে। ইলেকট্রনিক ডিভাইস থেকে দূরে থাকতে হবে। কারণ বিদ্যুৎ তারের মাধ্যমে প্রবাহিত হয়।

সর্বশেষ খবর