মঙ্গলবার, ৬ আগস্ট, ২০২৪ ০০:০০ টা

কত রকম কাজে কত রকম ইন্টারনেট?

সাধারণ ব্যবহারকারীরা ইন্টারনেটে নিত্যদিনের কাজটা ঠিকঠাক করতে পারলেই খুশি। তবে প্রশ্ন হলো, কত গতির ইন্টারনেট সংযোগ নিত্যদিনের কাজে প্রয়োজন। সে বিষয়েও এফটিসির একটি নির্দেশনা আছে। তবে সে ওয়েবপেজেই এফটিসি জানিয়েছে, সেটি প্রমিত মান নয়...

টেকনোলজি ডেস্ক

কত রকম কাজে কত রকম ইন্টারনেট?

ঘরে কিংবা অফিসে; প্রতি মুহূর্তে আপডেট থাকা কিংবা কর্মক্ষেত্রে বা পরিচিতদের সঙ্গে যোগাযোগ অথবা অবসরে ভিডিও গেম খেলা এমনকি ভিডিও কনটেন্ট দেখা- আজকাল এসব কিছুর জন্য প্রয়োজন ইন্টারনেট। তবে কাজের ধরনভেদে একেকজনের একেক গতির ইন্টারনেট প্রয়োজন হয়ে থাকে। তাই সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান থেকে ইন্টারনেট সংযোগ নেওয়ার সময় ঠিক কত গতির প্যাকেজে কাজ ঠিকভাবে করা যাবে তা জেনে নেওয়া জরুরি।

 

গেমিং ও উচ্চমানের স্ট্রিমিং : একটা সময় ছিল যখন গেম খেলার জন্য ইন্টারনেটের প্রয়োজন হতো না। কিন্তু এখন সোশ্যাল মিডিয়ার মতো গেমিংয়েও অনেক সুবিধা রয়েছে। খেলতে খেলতে বার্তা আদান-প্রদান যেমন করা যায়, আবার একাধিক প্লেয়ার টিম হিসেবে খেলার সময় নিজেদের মধ্যে কথাও বলা যায়। তা ছাড়া অনেক গেমার আছেন যারা গেম খেলার সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় উচ্চ রেজল্যুশনে ভিডিও স্ট্রিমও করেন। এসব মিলিয়ে গেম খেলার সময় বেশ উচ্চ গতির ইন্টারনেট প্রয়োজন হয়। এ ক্ষেত্রে প্রতি সেকেন্ডে ৬০ মেগাবিট (এমবি/সেকেন্ড) গতির ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে ঝামেলাবিহীন কাজ করা যাবে। তবে ৪কে রেজল্যুশনে ভিডিও স্ট্রিমিংয়ের জন্য ১০০ এমবি/সেকেন্ড গতির ইন্টারনেট থাকলে বাড়তি চিন্তায় পড়তে হবে না।

 

সোশ্যাল মিডিয়া ও সাধারণ ব্রাউজিং : সাধারণ ব্যবহারের মধ্যে পড়ে খবর পড়া, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার অথবা ভিডিও দেখা। অধিকাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এ কাজগুলো করে থাকেন। তবে প্রয়োজন যদি শুধু এটুকুই হয়ে থাকে তাহলে উচ্চ গতির ইন্টারনেটের প্রয়োজন নেই। সাধারণত ৫ থেকে ১০ এমবি/সেকেন্ড গতির ইন্টারনেট যথেষ্ট হবে। তবে মোটামুটি ১০ এমবি/সেকেন্ডের আশপাশের গতির সংযোগ নিলে সমস্যায় পড়তে হবে না।

 

ঘর থেকে কাজ : ঘর থেকে কাজ করা ক্ষেত্রবিশেষে সুবিধার হলেও প্রচুর পরিমাণে ফাইল আদান-প্রদান করতে হয়। পাশাপাশি ভিডিও কলে মিটিংয়ে অংশ নিতে হয়। এ ক্ষেত্রে সাধারণ ব্যবহারের চেয়ে একটু বেশি গতির ইন্টারনেট সংযোগ রাখা বুদ্ধিমানের কাজ। ২০ এমবি/সেকেন্ড গতির সংযোগ রাখলে হয়ে যাওয়ার কথা। তবে এক সংযোগে কতজন কাজ করা যাবে তা বিবেচনায় নিতে হবে।

 

অন-ডিমান্ড ও লাইভ স্ট্রিমিং : নেটফ্লিক্স বা ডিজনি প্লাসের মতো কোম্পানিগুলো অন-ডিমান্ড ভিডিও সেবা দিয়ে থাকে। বাংলাদেশেও এ রকম সেবা দিয়ে থাকে চরকি, বঙ্গ বিডিসহ অন্যান্য কোম্পানি। এসব প্ল্যাটফরমে কনটেন্ট দেখতে মোটামুটি ভালো ইন্টারনেট সংযোগ প্রয়োজন হয়। পাশাপাশি ফেসবুক, ইউটিউবের মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও স্ট্রিমিংয়ে মোটামুটি ১০ থেকে ২০ এমবি/সেকেন্ড গতির ইন্টারনেট সংযোগ যথেষ্ট হবে।

 

ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজের প্রয়োজনভেদে তাদের প্যাকেজে ঠিক কী কী থাকছে তা যাচাই করে নেওয়ার পরামর্শ দেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। এখানে অবশ্য আরও অনেক বিষয় মাথায় রাখতে হবে। যেমন একই ইন্টারনেট সংযোগ কতগুলো ডিভাইসে একসঙ্গে ব্যবহার করা হচ্ছে, মূল কাজের পাশাপাশি ব্যাকগ্রাউন্ডে ডেটা খরচ হচ্ছে কি না ইত্যাদি। তা ছাড়া বেশি গতির ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে প্রয়োজন হয় উচ্চগতির কম্পিউটারও। তাই কম্পিউটারের সক্ষমতাও এ ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেওয়া জরুরি।

 

           

সর্বশেষ খবর