জনপ্রিয় অ্যাপ গুগল ম্যাপ। যা নেভিগেশন অ্যাপগুলোর মধ্যে অন্যতম। আমাদের দৈনন্দিন চলাচলে অ্যাপটি বেশ সহায়ক। এর মাধ্যমে সহজেই যে কোনো জায়গা খুঁজে পাওয়া সহজ। অবস্থান, দূরত্ব ও সেখানে পৌঁছতে কোনো পরিবহনে কত সময় লাগবে, এমনকি সেখানে যাওয়ার সব রাস্তার তথ্য জানান দেয় পরিষেবাটি। এই অ্যাপে এমন কিছু প্রয়োজনীয় ফিচার রয়েছে, যা অনেকেরই অজানা। ফিচারগুলো চালক অথবা অ্যাপ ব্যবহারকারীদের আরও বেশি সহায়তা দেবে।
সাশ্রয়ী জ্বালানির রুট
গুগল ম্যাপের মাধ্যমে ব্যবহারকারী এমন রুট বেছে নিতে পারেন, যা সর্বনিম্ন জ্বালানি খরচ করবে। এ জন্য প্রথমে ম্যাপ ওপেন করে গন্তব্য নির্বাচন করতে হবে। ওপরের ডানদিকে থ্রি ডট বিন্দুতে ট্যাপ করতে হবে এবং রুট অপশন নির্বাচন করতে হবে। তারপর ‘রুট উইথ দ্য লোয়ার ফুয়েল কনজাম্পশন’ ও ইঞ্জিনের ধরন, যেমন পেট্রল, ডিজেল, বৈদ্যুতিক বা হাইব্রিড বেছে নিতে হবে। এরপর সর্বনিম্ন জ্বালানি খরচসহ রুটটি ম্যাপে দেখা যাবে।
নিজস্ব ম্যাপ তৈরির সুযোগ
গুগল ম্যাপে ব্যবহারকারী নিজস্ব মানচিত্র তৈরি করতে পারে। এটি গুগল ম্যাপের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে করা হয়। ব্যবহারকারীকে ওপরের বাম দিকে ‘স্যান্ডউইচ’ আইকনে ক্লিক করে সেভ করতে হবে। এরপর ‘ম্যাপ’ অপশনটি ক্লিক করে ‘ক্রিয়েট ম্যাপ’ ট্যাপ করতে হবে।
গাড়ির পার্কিং অবস্থান
গাড়ি কোথায় পার্ক করা আছে তা খুঁজে বের করতে প্রথমে নিজের অবস্থান দেখায় এমন নীল বিন্দুতে ট্যাপ করতে হবে এবং ‘সেভ পার্কিং লোকেশন’ নির্বাচন করতে হবে। অবস্থানটি ইংরেজি ‘পি’ অক্ষর দিয়ে চিহ্নিত করা থাকবে।
লোকেশন শেয়ারিং
গুগল ম্যাপ ব্যবহারকারীর বন্ধু বা পরিবারের সদস্যরা কোথায় আছে তা এ ফিচারের মাধ্যমে জানা সম্ভব। এ জন্য অ্যাপের সার্চ বারে প্রোফাইল আইকনে ট্যাপ করে লোকেশন শেয়ারিং নির্বাচন করতে হবে। এবার সময়কাল সেট করে এবং নিজের অবস্থান দেখতে পারে এমন কন্ট্যাক্টগুলো বাছাই করতে হবে।
ভয়েজ কমান্ড
অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারী ‘ওকে গুগল’ বলে ভয়েস কমান্ড সক্রিয় করতে পারেন এবং ‘নিকটতম গ্যাস স্টেশন কোথায়’, এমন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে পারেন।
ডিপার্চার রিমাইন্ডার
সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য কখন রওনা হতে হবে সে সম্পর্কে একটি নোটিফিকেশন দেবে গুগল ম্যাপ। এ জন্য প্রস্থান ও গন্তব্য লিখে ওপরের ডানদিকে থ্রি ডট ট্যাপ করতে হবে। এরপর ‘সেট ডিপার্চার রিমাইন্ডার’ নির্বাচন করতে হবে। এবার সময় সেট করে দিতে হবে, তাহলে নোটিফিকেশন আসবে।