শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০০:০০ টা

স্পেসওয়াক করে ইতিহাস

টেকনোলজি ডেস্ক

স্পেসওয়াক করে ইতিহাস

প্রথমবারের মতো বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে বাণিজ্যিকভাবে অপেশাদার নভোচারী হিসেবে ‘স্পেসওয়াক’ সম্পন্ন করেছেন এক মার্কিন ধনকুবের এবং এক নারী প্রকৌশলী। ভূপৃষ্ঠ থেকে ৭০০ কিলোমিটার উচ্চতায়, এই মহাজাগতিক ইতিহাস রচিত হয়। মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের মহাকাশ  গবেষণা সংস্থা স্পেসএক্সের ‘পোলারাইস ডন’ অভিযানে এই মাইলফলক তৈরি হয়েছে। এই মিশনে দুই ক্রুসহ মোট চার মহাকাশচারী অংশ নেন। তাদের মধ্যে দুজন ‘স্পেসওয়াক’ করেন...

 

প্রথমবারের মতো বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে বাণিজ্যিকভাবে অপেশাদার নভোচারী হিসেবে ‘স্পেসওয়াক’ সম্পন্ন করেছেন এক মার্কিন ধনকুবের এবং এক নারী প্রকৌশলী। ভূপৃষ্ঠ থেকে ৭০০ কিলোমিটার উচ্চতায়, এই মহাজাগতিক ইতিহাস রচিত হয়। মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা স্পেসএক্সের ‘পোলারাইস ডন’ অভিযানে এই মাইলফলক তৈরি হয়েছে। এই মিশনে দুই ক্রুসহ মোট চার মহাকাশচারী অংশ নেন। তাদের মধ্যে দুজন ‘স্পেসওয়াক’ করেন। বাণিজ্যিকভাবে পরিচালিত এই স্পেসওয়াক সম্পন্নকারী দুজন হলেন জ্যারেড আইজ্যাকম্যান ও সারাহ গিলিস। এর মধ্যে ৪১ বছর বয়সি আইজ্যাকম্যান ইলেকট্রনিক পেমেন্ট কোম্পানি শিফট৪-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও। অন্যদিকে সারাহ ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেসএক্সের প্রকৌশলী। এ ছাড়া মহাকাশযানের ক্রু হিসেবে ছিলেন স্কট পোটিট এবং অ্যানা মেনন। মিশনে প্রথমে ধনকুবের আইজ্যাকম্যান যিনি এই স্পেসএক্সের ক্যাপসুল (ক্রু ড্রাগন) থেকে বাইরে বেরিয়ে মহাশূন্যে বিচরণ করেন, যা কোনো বেসরকারি সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত প্রথম স্পেসওয়াক হিসেবে ইতিহাস গড়ে। তার প্রায় ১৫ মিনিটের ব্যবধানে বের হয়ে এসে ‘স্পেসওয়াক’ করেন সারাহ। এদিকে এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের ছবি এবং ভিডিও সামনে এসেছে, তা অভূতপূর্ব। ভিডিওতে দেখা যায়, নীল-সাদা পৃথিবী রয়েছে সম্মুখভাগে। নিকষ কালো অন্ধকারে দুলছে ক্যামেরা। ধীরে ধীরে মহাকাশযানের ওপরের ঢাকনাটি খোলে এবং বেরিয়ে আসেন আইজ্যাকম্যান। ঝুঁকে নিচের দিকেও তাকান তিনি। সামনে উজ্জ্বল পৃথিবীকে দেখে উল্লাসে মুষ্টিবদ্ধ হাতটি তোলেন। স্পেসওয়াকের আগে নিজেকে প্রস্তুত করেন আইজ্যাকম্যান। স্পেসস্যুটটির নমনীয়তা পরীক্ষা করে দেখতে বিভিন্ন ভঙ্গিতে হাত-পা নাড়ান তিনি। ভিডিওতে আরও দেখা যায়, স্পেসওয়াকের সময় মহাকাশযানের সঙ্গে বাধা অবস্থায় ছিলেন আইজ্যাকম্যান এবং সারাহ। স্থিতিশীলতা বজা রাখতে স্কাইওয়াকার নামের হ্যান্ড রেল প্রযুক্তিও ব্যবহার করেন। দুজনই ১২ মিনিট করে মোট ২৪ মিনিট মহাকাশযানটির বাইরে ছিলেন। অন্যদিকে মহাকাশযানের ভিতর থেকে সব কিছু পরিচালনা করেন স্কট পোটিট এবং অ্যানা মেনন। 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর