সোমবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

মুজিবনগর সরকার ও স্বাধীনতা

ওয়ালিউর রহমান

১৭ এপ্রিল ১৯৭১ বাঙালি জাতির ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ এক অধ্যায়। এ দিন মুজিবনগর সরকার গঠনের মধ্য দিয়েই শুরু হযেছে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত অধ্যায়।

২৫ মার্চ ভয়াল কালরাত্রিতে পাকিস্তানি বাহিনীর দ্বারা গণহত্যা ও ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার পর বাংলাদেশ বহির্বিশ্বের কাছে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছিল। ২৬ মার্চে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের যে সূচনা হয়েছিল ১৭ এপ্রিল তা সংঘবদ্ধ রূপ লাভ করে। ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল ‘স্বাধীনতা ঘোষণাপত্র’ গ্রহণ করা হয় এবং ১৭ এপ্রিলে প্রকাশ্য ঘোষণা ও শপথ গ্রহণের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকতা লাভ করে। বাঙালি জাতির চরম দুঃসময় এবং এক ক্রান্তিলগ্নে সেদিন মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ নিয়ে দেশবাসীকে আশার আলো দেখিয়েছিল।

১০ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপ্রধান ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক করে সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ঘোষণা করা হয়। এ সরকার সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপরাষ্ট্রপ্রধান এবং বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে তাকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপ্রধান ও সশস্ত্র বাহিনীর অস্থায়ী সর্বাধিনায়ক নির্বাচিত করে। তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীকে অর্থমন্ত্রী, খন্দকার মোশতাক আহমেদকে পররাষ্ট্র, আইন এবং সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী, এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে স্বরাষ্ট্র, কৃষি, ত্রাণ এবং পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ গঠন করা হয়। চার মন্ত্রীকে ১২টি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়।

ঘোষণাপত্র পাঠ করেন অধ্যাপক এম ইউসুফ আলী। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন এ ঘোষণাপত্র কার্যত মুজিবনগর সরকার কর্তৃক অলিখিত সংবিধান ছিল।

স্বাধীনতাকামী দেশে দেশে এ ধরনের সরকার গঠনের নজির অসংখ্য কিন্তু মুজিবনগর সরকারের মতো শুধু নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকার গঠন ইতিহাসে বিরল। আমেরিকার স্বাধীনতার সোনালি ইতিহাসের সঙ্গে যুক্ত গর্বিত শহরের নাম ফিলাডেলফিয়া। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে আমেরিকানদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ফিলাডেলফিয়া ছিল আমেরিকার রাজধানী। আমেরিকান ‘রেভল্যুশন’-এ মূল ভূমিকা পালন করেছে এ শহর। আমেরিকার ‘ফাউন্ডিং ফাদার’রা এ শহরে সভা করতেন। ১৭৭৬ সালে তারা ‘দ্য ডিক্লারেশন অব ইনডিপেনডেন্স’-এ স্বাক্ষর করেন।

পোল্যান্ডের স্বাধীনতাকামী প্রবাসী সরকারের সদর দফতর স্থাপিত হয়েছিল লন্ডনে। প্রিন্স নরোদম সিহানুকের নেতৃত্বাধীন স্বাধীন কম্বোডিয়ান সরকারের সদর দফতর স্থাপিত হয়েছিল বেইজিংয়ে। সোভিয়েত সমর্থিত আফগান সরকারের বিরুদ্ধে গঠিত আফগানিস্তানের মোজাহেদীনদের সদর দফতর ছিল পাকিস্তানের পেশোয়ারে, প্রবাসী পিএলও সরকারের সদর দফতর স্থাপিত হয় প্রথমে বৈরুতে, পরবর্তীকালে আম্মানে এবং সর্বশেষে তিউনিশিয়ায়।

আলজেরিয়ার স্বাধীনতা যুদ্ধ ছিল ফ্রান্সের শাসনের বিরুদ্ধে, ১৯৫৪ থেকে ১৯৬২ পর্যন্ত এ যুদ্ধ চলে।

ফেরহাত আব্বাস আলজেরিয়ার স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিউনিসে আলজেরিয়ার নির্বাসিত সরকার প্রতিষ্ঠা করেন।

১৯৬০ সালে আহমেদ বেন বেল্লা ছিলেন একজন আলজেরীয় সমাজতান্ত্রিক যোদ্ধা ও বিপ্লবী। তিনি ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্টের চিফ অব স্টাফ হন এবং ফরাসিদের নাগালের বাইরে মরক্কো এবং তিউনিসিয়ায় আলজেরিয়ান সেনাবাহিনী গড়ে তোলার জন্য তার প্রচেষ্টাকে কেন্দ্রীভূত করেছিলেন।

জামিলা বুহের্দ যিনি আলজেরিয়ার ফরাসি ঔপনিবেশিক শাসনের বিরোধিতা করেছিলেন। ফ্রান্স থেকে জাতীয় স্বাধীনতা যুদ্ধের আলজেরিয়ান বীরাঙ্গনা। বর্বর ফ্রান্সের বিরুদ্ধে মুক্তিকামী আলজেরিয়ার ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অপারেশনটি পরিচালনা করার জন্য তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ভয়ংকর বর্বরতার বিরুদ্ধে তার সংহারি বিপ্লবী ভূমিকা যুগে যুগে অনুপ্রাণিত করেছে বিশ্বের সব প্রান্তের নারীকে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় শার্ল দ্য গোল স্বাধীন ফ্রান্সের একমাত্র নেতা হিসেবে ঘোষণা করে ফ্রান্সে অবস্থানরত জার্মান নাৎসি বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধের সূচনা করেন।

তিউনিসিয়ার স্বাধীনতা ১৯৫২ থেকে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত ফ্রান্সবিরোধী এবং হাবিব বোরগুইবার নেতৃত্বে একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের মাধ্যমে হয়েছিল। ১৯৫৭ সালে তিউনিসিয়ান গণতন্ত্র ঘোষণার আগে, তিনি প্রথম তিউনিসিয়া রাজ্যে দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সেবা করেছেন। এরকম আরও অনেক দেশের ইতিহাস আছে যারা যুদ্ধের সময় সরকার গঠন করে বা একক নেতৃত্বে দেশকে পরাধীনতার গ্লানি থেকে স্বাধীনতার আলো দেখিয়েছিলেন।

সেই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, যুদ্ধকালীন সরকার গঠন এবং স্বাধীনতা সবই ছিল অতুলনীয়। কারণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধ শুরুর আগেই ছয় দফা ঘোষণা, ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ এবং ২৬ মার্চের স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে বুঝিয়ে দিয়ে গেছেন বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার জন্য কী করতে হবে।

একটি নাম মুজিব, শেখ মুজিব, বঙ্গবন্ধু এ নামের সঙ্গে যে একটি বিশেষ দর্শন বা রাজনৈতিক আদর্শ জড়িত আছে তাতে করেই সম্ভব হয়েছিল সমগ্র বাঙালি জাতির একত্রিত হওয়া এবং তাতে গঠিত হলো মুজিবনগর সরকার।

যুদ্ধকালীন তিনি পাকবাহিনীর জেলখানায় বন্দি ছিলেন কিন্তু দেশবাসীকে দিয়ে যাওয়া তার প্রতিটি নির্দেশনাকে স্মরণ রেখে আপামর জনতা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে এনেছিল। আর বঙ্গবন্ধুর দিয়ে যাওয়া নির্দেশনা মোতাবেক যুদ্ধকালীন গুরু দায়িত্ব পালন করেছেন জাতীয় চার নেতা।

একটি জাতির মুক্তির সংগ্রামকে সুসংগঠিতভাবে সফলতার দিকে এগিয়ে নেওয়ার মূল দায়িত্বটিই পালন করে মুজিবনগর সরকারের অভ্যন্তরীণ প্রশাসন। বহির্বিশ্বে মুজিবনগর সরকারের তৎপরতার ফলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং পাকবাহিনীর ধর্ষণ, নির্যাতন ও গণহত্যা সম্পর্কে জানতে পেরেছিল।

মুজিবনগর সরকার গঠনই ছিল স্বাধীনতা অর্জনের প্রথম পদক্ষেপ। এর ফলে একটা সরকারি স্ট্রাকচার আমরা পেলাম এবং সে স্ট্রাকচারের মাধ্যমে মুজিবনগর সরকার একটা ঐতিহাসিক ভূমিকা রেখেছিল, যাদের নির্দেশনায় আমরা সারা ইউরোপে কাজ করেছি। এ ঘোষণার পরপরই আমরা যারা বিদেশে চাকরিরত ছিলাম তারা এ দলিলের ভিত্তিতেই অর্থাৎ সব দেশের কাছে আমাদের এ সরকারের বৈধতা তুলে ধরলাম এবং চাইলাম স্বাধীন বাংলার স্বীকৃতি।

আমি মুজিবনগর সরকারের নির্দেশনায় পাকিস্তান ফরেন সার্ভিসের চাকরি ছেড়ে দিয়ে পাকিস্তান দূতাবাস ত্যাগ করি। মুজিবনগর থেকে প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র সচিব আমাকে ফোন করেছিল। কলকাতায় দ্বিতীয় সচিব ছিলেন আনোয়ারুল করিম চৌধুরী এবং ওয়াশিংটন ডিসি থেকে শাহ এ এম এস কিবরিয়া, তাদের সঙ্গে আমার নিয়মিত যোগাযোগ হতো। ১৯৭১ সালের আগস্টের ২১ ও ২২ তারিখে জেনেভায় পাকিস্তান ইনভয়েস কনফারেন্সে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে রাষ্ট্রদূতরা সেখানে সমবেত হয়েছিল। আমি মুজিবনগর সরকারের নির্দেশে পুরো কনফারেন্সটা কাভার করেছিলাম এবং কনফারেন্সের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত, গোপনীয় বার্তা আমরা বার্ন ও জেনেভা থেকে দিল্লির মুজিবনগর সরকারের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর পাকিস্তান দূতাবাস ত্যাগ করার আগে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত যতগুলো গোপন তথ্য আছে ইসলামাবাদ থেকে সবকিছুই আমি মুজিবনগর সরকারের কাছে পাঠিয়ে দিই তাদের নির্দেশ মোতাবেক। আমার সঙ্গে বিদেশে দায়িত্বরত অনেক বাঙালি ছিলেন। আরও ছিলেন ভারতের রাষ্ট্রদূত এয়ার চিফ মার্শাল অর্জুন সিংহ। তিনি বার্নে দায়িত্বরত ছিলেন। আরেকজন হলেন অ্যাম্বাসেডর পূর্ণেন্দু কুমার ব্যানার্জি। তিনি জেনেভায় দায়িত্বরত ছিলেন। আমরা তাকে পিকে বলে ডাকতাম। তিনি বঙ্গবন্ধুকে চিনতেন। তিনি পঞ্চাশ দশকে ভারতের অর্থাৎ পূর্ব পাকিস্তানে কনস্যুলার জেনারেল ছিলেন। কিছু সুইস নেতৃবৃন্দ ছাড়া জোন জিগলার যিনি স্বাধীন বাংলাদেশের যে কমিটি করেছিলেন তারা সবাই মিলে আমাকে সাধুবাদ জানালেন। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে যা যা করা দরকার তা সবই আমরা করতে থাকলাম।

যুদ্ধ চলাকালীন জেনেভায় ৯ মাস রিফিউজি হিসেবে ছিলাম। আমরা বহির্বিশ্বের সঙ্গে কূটনৈতিক যোগাযোগের মাধ্যমে স্বাধীনতার সপক্ষে বিশ্ব জনমত তৈরির প্রচেষ্টায় ছিলাম। মুজিবনগর সরকারের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ হতো। সে সময় মুজিবনগর সরকারের প্রতিনিধি হয়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছি এবং বাংলাদেশের জন্য সাহায্য চেয়েছি। তখন সব দেশে যেতে ভিসা লাগত। কিন্তু আমার কাছে কোনো ভিসা ছিল না, রিফিউজি ডকুমেন্ট ছিল। কিন্তু যখন তারা শুনেছে আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রিপ্রেজেন্টেটিভ তখনই তারা বলত আপনি যান, যেহেতু আপনি শেখ মুজিবুর রহমানের দেশের এবং তাঁর প্রতিনিধি হয়ে এসেছেন তাই আপনার কোনো ভিসা লাগবে না। এ মুজিব স্ফুলিঙ্গ সমস্ত ইউরোপকে আচ্ছন্ন করেছিল।

মুক্তিযুদ্ধের সময়টায় সুইস রেডক্রস, ইন্টারন্যাশনাল রেডক্রসসহ আরও অনেক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের এক কোটি শরণার্থীকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছিল। এর নেপথ্যে আমি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলাম।

মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা এবং দেশে ও বিদেশে মুক্তিযুদ্ধের জনমত গড়ে তোলা ও সমর্থন আদায় করার ক্ষেত্রে এ সরকার বিশেষ ভূমিকা পালন করে। মুজিবনগর শুধু ঐতিহাসিক স্থানই নয়, আমাদের মুক্তিযুদ্ধ এবং রাষ্ট্র গঠনের ভিত্তিও বলা যায়। এ দিনটি এবং স্থানটি আমাদের আবেগের সঙ্গে জড়িত।

৩০ লাখ শহীদের রক্ত ও ৪ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে আমরা যে স্বাধীনতা পেয়েছি আজ স্বাধীনতার ৫১ বছর পর সে স্বাধীনতাকে নিয়ে সমাজের কিছু মানুষের মধ্যে বিতর্ক চলে। আর বিতর্ক তারাই করে যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অস্বীকার করে, স্বাধীনতা সংগ্রামকে বিশ্বাস করে না, জাতির পিতাকে বিশ্বাস করে না, এদেশের সংবিধানকে বিশ্বাস করে না।

গত ১৩ জানুয়ারি, ২০২৩ রাজধানীর এক অনুষ্ঠানে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও দেশের স্বাধীনতা অর্জনের সঙ্গে ‘বাইচান্স’ শব্দটি ব্যবহার করে এবং সংবিধান পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়ে বক্তব্য দেয়।

সুদীর্ঘ সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা যে স্বাধীনতা অর্জন করেছি এর সঙ্গে কোনোভাবেই ‘বাইচান্স’ শব্দটির ব্যবহার গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের কথা অত্যন্ত ধৃষ্টতাপূর্ণ ও নিন্দনীয়।

বিএনপির আরেক নেতা মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের চেয়ে পাকিস্তান ভালো আছে। যেখানে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, আইএমএফ, এডিবি সব জায়গায় দেখানো হচ্ছে পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে আছে সেখানে তারা পাকিস্তানের জয়গান করে বেড়াচ্ছে।

অবশ্যই তাদের দ্বারা এ ধরনের কথা বলা স্বাভাবিক, কারণ বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান দেশ স্বাধীন হওয়ার পর যুদ্ধাপরাধীদের পুনর্বাসন ও রাজাকারদের রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক প্ল্যাটফরম তৈরি করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর খুনের রক্তের ওপর দিয়ে হেঁটে তিনি খুনিদের বাঁচানোর জন্য ইনডেমনিটি আইন করলেন। বেগম খালেদা জিয়া একই পথ অনুসরণ করে চলেছেন।  তাদের সঙ্গীসাথীরা তো এ ধরনের কথা বলবেই কিন্তু হাস্যকর লাগে তখনই যখন তারা আবার দেশপ্রেমের কথা বলে বেড়ায়।

লেখক : মুক্তিযোদ্ধা, লেখক ও গবেষক।

সর্বশেষ খবর