মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

যাত্রাবাড়ীতে ফ্লাইওভারের নিচে খানাখন্দের মহাসড়ক

আহমদ সেলিম রেজা

যাত্রাবাড়ীতে ফ্লাইওভারের নিচে খানাখন্দের মহাসড়ক

যাত্রাবাড়ীর পাঁচ রাস্তার উপর দিয়ে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের চকচকে রাস্তা। সেই রাস্তা দিয়ে ৬০ মাইল গতিতে চলছে বাস-ট্রাক। ফ্লাইওভারের ঠিক নিচে যাত্রাবাড়ী মহাসড়কের করুণ অবস্থা। বছরখানেক ধরে খানাখন্দে ভরা যাত্রাবাড়ী মহাসড়কে প্রতিদিন বিকল হচ্ছে দুই-তিনটি গাড়ি। লেগে থাকছে যানজট। এ যানজট সামলাতে ট্রাফিক পুলিশকে হতে হচ্ছে গলদঘর্ম। যাত্রী হয়রানির তো শেষ নেই। অসহায় গাড়ির মালিক, চালক, যাত্রীরা।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সায়েদাবাদ টার্মিনাল থেকে যাত্রাবাড়ী পাঁচ রাস্তার মোড়সহ প্রতিটি রাস্তাই গর্তে বেহাল। যাত্রাবাড়ী থেকে পশ্চিমদিকে শহীদ ফারুক রোড ও সায়েদাবাদ হয়ে জয়কালী মন্দির পর্যন্ত মহাসড়ক, পূর্বদিকে ডেমরা ও চিটাগাং মহাসড়কের কাজলা পর্যন্ত, দক্ষিণ দিকে মাওনা মহাসড়কের ধোলাইরপাড় পর্যন্ত এবং উত্তরদিকে গোলাপবাগ পর্যন্ত জনপদ রোড ও বক্স কালভার্ট রোডের অবস্থা খুবই খারাপ। চট্টগ্রাম, সিলেটসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ৩৩ জেলার যানবাহন রাজধানীতে ঢুকতে ও বেরুতে হয় যাত্রাবাড়ীর ওপর দিয়ে। কিন্তু টোল ভাড়া বেশি বলে এসব পরিবহনের অধিকাংশ সার্ভিস চলাচল করে ফ্লাইওভারের নিচ দিয়ে। ফলে যাত্রাবাড়ী পাঁচ রাস্তার মোড়ে এমনিতেই যানবাহনের চাপ থাকে খুব বেশি।

 

 

তার ওপর ফ্লাইওভারের গার্ডওয়াল ও ডিজাইনের কারণে নিচের রাস্তাগুলো সিঙ্গেলওয়ে বা সরু। যাত্রাবাড়ী পয়েন্টে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট মোরশেদুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, রাস্তায় গর্তের কারণে এখানে গাড়ি চলে খুব ধীরগতিতে। ফলে লেগে থাকছে যানজট। প্রতিদিন এ রাস্তায় বিকল হচ্ছে দুই-একটি গাড়ি। রেকার এনে গাড়ি না সরানো পর্যন্ত এ যানজট সামলাতে ট্রাফিক পুলিশের ডাবল খাটুনি যাচ্ছে। স্থানীয় অধিবাসী সুজন বলেন, ঈদের মৌসুমে ইট ফেলে গর্ত ভরাট করে রাস্তা সংস্কার করা হয়েছে। শহীদ ফারুক রোডসহ মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে পিচের ঢালাইও দেওয়া হয়। কিন্তু এরপরের এক বৃষ্টিতেই তা আবার ভেঙে যায়। ওয়ার্ড কমিশনার আবুল কালাম অনু বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আশা করছি আগামী মাস থেকে কাজ শুরু হবে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে মহাসড়কের এসব রাস্তা সংস্কারে পাঁচটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে।

সর্বশেষ খবর