মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

নাসিকের রাস্তায় রাস্তায় ময়লা আবর্জনা

রোমান চৌধুরী সুমন, নারায়ণগঞ্জ

নাসিকের রাস্তায় রাস্তায় ময়লা আবর্জনা

দুই কিলোমিটার রাস্তায় বিভিন্ন স্পটে সারা দিন এ ময়লা থেকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। আর পাড়ামহল্লায় অলিগলির রাস্তায় রয়েছে অনির্ধারিত অসংখ্য ডাস্টবিন। অথচ এসব ময়লা আবর্জনা অপসারণ ও পরিচ্ছন্নতা রক্ষায় সিটি করপোরেশন প্রতি বছর নাগরিকদের কাছ থেকে আদায় করছে ট্যাক্স।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) এলাকার মূল শহর ও শহরতলীর যত্রতত্র পড়ে থাকে ময়লা আবর্জনা। মূল শহরের চাষাঢ়া থেকে জিমখানা পর্যন্ত দুই কিলোমিটার রাস্তায় বিভিন্ন স্পটে সারা দিন এ ময়লা পড়ে থাকতে দেখা যায়। আর পাড়ামহল্লায় অলিগলির রাস্তায় রয়েছে অনির্ধারিত অসংখ্য ডাস্টবিন। অথচ এসব ময়লা আবর্জনা অপসারণ ও পরিচ্ছন্নতা রক্ষায় সিটি করপোরেশন প্রতি বছর নাগরিকদের কাছ থেকে আদায় করছে ট্যাক্স।

সরেজমিন শহরের ব্যস্ততম কালিবাজার গ্রিন্ডল্যাজ ব্যাংকের মোড়ে দেখা যায়, রাস্তার পাশে ফুটপাথেই পড়ে আছে আবর্জনা। আবর্জনার ওপরেই নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সৌজন্যে সাঁটানো সাইনবোর্ডে লেখা রয়েছে ‘সবাই মিলে দিব কর নগর হবে স্বনির্ভর’। কিন্তু জনগণের কাছ থেকে কর আদায় করলেও নাসিক মূল শহরকেই পরিচ্ছন্ন রাখতে পারছে না।

 

 

শুধু কালিবাজার নয়, শহরের অক্টোফিস, জামতলা, নূর মসজিদের বিপরীত পাশে বিভিন্ন স্থানে দিনের বেলায় রাস্তার পাশে পড়ে আছে ময়লা আবর্জনা। ভন ভন করছে মাছি। বেওয়ারিশ কুকুর ওই ময়লায় মাথা ঢুকিয়ে খুঁজছে খাবার। খাবারের সন্ধান পেলে ময়লার পলিথিন টেনে নিয়ে আসছে রাস্তার মধ্যে। এতে সেই ময়লা পলিথিন ছিঁড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে চারদিকে। অন্যদিকে মানুষ নাকে রুমাল চেপে ময়লার স্থানগুলো পার হচ্ছে। তবে এ নিয়ে সাধারণ মানুষের যেন তেমন কোনো কর্ণপাত নেই। মানুষগুলো যেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের এ অবস্থা দেখে দীর্ঘদিনের অভ্যস্ত। সকালে রাস্তায় বের হয়েই এ ময়লা দেখতে হয়। ময়লা আবর্জনার দুর্ভোগ নিয়ে একাধিক নাগরিক জানান, কর দিয়ে যে সুবিধা পাওয়ার কথা তা বেশিরভাগ খাতা-কলমেই রয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা অনেক দূর। এসব নিয়ে কেউ প্রতিবাদ করলে তা রাজনীতিতে মোড় নেয়।

সর্বশেষ খবর