বন্দরনগরী চট্টগ্রামের কদমতলী ফ্লাইওভার নির্মাণকাজ শেষ। এখন শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষায় দিন গোনা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতি পেলেই যে কোনো দিন উদ্বোধন করা হবে। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন না করায় এখনো যান চলাচল শুরু হয়নি এটিতে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) ৫৮ কোটি টাকায় তৈরি উড়াল সড়কটি চালু হলে ব্যস্ত নিউমার্কেট হতে আগ্রাবাদ পর্যন্ত সড়কে যানজট কমে আসবে এবং চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন এলাকাটি পরিচ্ছন্ন থাকবে বলে জানান চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। তা ছাড়া ব্যস্ততম এই এলাকায় তিনটি বাসটার্মিনাল রয়েছে। আন্তঃজেলা টার্মিনাল, বিআরটিসি এবং চট্টগ্রাম-শুভপুর বাসটার্মিনাল থেকে বৃহত্তর নোয়াখালী, কুমিল্লা ও রাঙামাটিসহ বিভিন্ন গন্তব্যে প্রতিদিন শত শত বাস ছেড়ে যায়। এ ছাড়া চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের অবস্থানও কাছাকাছি। দীর্ঘদিন এ ওভারব্রিজটি সম্পন্ন না হওয়ায় ট্রেনযাত্রীদের অনেক ভোগান্তি হয়েছে।
![](/assets/archive/images/Print-Edition/2015/November/24-11-2015/2a.jpg)
স্থানীয় ব্যবসায়ী শাহ আলম ও রেলওয়ে শ্রমিকলীগ নেতা কামাল পারভেজ বাদল বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই কদমতলী ফ্লাইওভারের কাজ শেষ না হওয়ায় সাধারণ পথচারীদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। এটি যত দ্রুত উদ্বোধন হবে তত বেশি ট্রেনযাত্রীসহ স্থানীয়রা দুর্ভোগ থেকে বাঁচবে। চউক চেয়ারম্যান আবদুছ ছালাম বলেন, কদমতলী ফ্লাইওভারের কাজ শেষ হয়েছে। চট্টগ্রামবাসীর ইচ্ছা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত দিয়েই এটি উদ্বোধন হবে। তাই প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি পেলে শিগগিরই উদ্বোধনের তারিখ ঠিক করা হবে। তিনি বলেন, চট্টগ্রামে অনেক প্রকল্পের উন্নয়ন কাজ চলছে। কয়েকটির কাজ শেষও হয়ে গেছে। তবে
উদ্বোধনের সময় বেশি দেরি হলে যাত্রীদের সুবিধায় গাড়ি চলাচল করবে। ২০১২ সালে শুরু হওয়া ১ দশমিক ১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এই উড়াল সড়ক গত জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা ছিল। সম্প্রতি এটির নির্মাণকাজ শেষ হয়।