বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার কেতনার বিলে পাকসেনাদের গুলিতে নিহত দেড় সহস্রাধিক শহীদের স্মৃতিরক্ষায় ৪৪ বছরেও নির্মিত হয়নি কোনো স্মৃতি চিহ্ন। স্বাধীনতার ৪ যুগ পরও স্থানটি বধ্যভূমির তালিকায় স্থান না পাওয়ায় এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত স্থানটি সংরক্ষণ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এই এলাকার প্রবীণ বাসিন্দারা।
আগৈলঝাড়া উপজেলার রাংতা গ্রামের শহীদ কাশীনাথ পাত্রের ছেলে জগদীশ পাত্র জানান, ১৯৭১ সালের ১৫ মে পাকবাহিনীর আগমনের খবরে গৌরনদী-আগৈলঝাড়ার কয়েক হাজার নারী-পুরুষ ও শিশু-কিশোর কেতনার বিলে আশ্রয় নেয়। ওইদিন তিনি নিজেও (জগদীশ) তার বাবার সঙ্গে ওই বিলে আশ্রয় নেন। ওইদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাকসেনারা কেতনার বিলে পৌঁছে মেশিনগান দিয়ে ব্রাশফায়ার করে পাখির মতো মানুষ মারতে থাকে। তিনি (জগদীশ) প্রাণে বেঁচে গেলেও তার বাবা গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন। একই সময় কেতনার বিলের পার্শ্ববর্তী কেষ্ট পাত্রের বাড়িতে পাকসেনারা প্রবেশ করে ওই বাড়ির ১৯ জনকে গুলি করে হত্যা করে।