মঙ্গলবার, ২৯ মার্চ, ২০১৬ ০০:০০ টা

নালা-নর্দমার মাটির স্তূপ সড়কে

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

নালা-নর্দমার মাটির স্তূপ সড়কে

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) বর্ষা সামনে রেখে নগরীর খাল, নালা-নর্দমা ও ড্রেনের মাটি উত্তোলন কাজ শুরু করেছে। কিন্তু উত্তোলন করা কাঁদামাটি ও আবর্জনা স্তূপ করে ফুটপাথ এবং সড়কে রাখা হচ্ছে বলে পথচারীদের অভিযোগ। এসব মাটি দ্রুত না সরানোয় সড়ক দিয়ে চলা যেমন দায়, তেমনি যানবাহন চলাচলেও বিঘ্ন ঘটছে। আবার বেশি দিন ধরে স্তূপাকারে পড়ে থাকায় কাঁদামাটি থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ, নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ, মাটি শুকিয়ে সৃষ্টি করছে বিষাক্ত জীবাণু।

সরেজমিন দেখা যায়, বর্ষা সামনে রেখে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড ও এলাকায় চলছে মাটি অপসারণ কাজ। এর মধ্যে আগ্রাবাদ শেখ মুজিব রোডের বক্স কালভার্ট থেকে তোলা হচ্ছে মাটি। ২ নম্বর গেট এলাকার নালা-নর্দমা করা হচ্ছে। বাদামতলী মোড় থেকে দেওয়ান হাট পর্যন্ত ছয় অংশে ব্রিজ-কালভার্টের উত্তোলন করা হয় মাটি ও আবর্জনা। তা ছাড়া মাটি উত্তোলন ও সংস্কারের কাজ চলছে চকবাজার এলাকার কেবি আমান আলী রোড, বাদুরতলা এলাকা, বহদ্দার হাটসহ নগরীর বিভিন্ন অংশে। চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী শফিউল আলম বলেন, এবার আমরা ঠিকাদারের মাধ্যমে খাল, নালা-নর্দমার মাটি অপসারণ করার কাজ করছি। নিয়ম মতে তারা উত্তোলনকৃত মাটি দ্রুত সরিয়ে ফেলার কথা। কিন্তু তারা মাটিগুলো যথাসময়ে সরিয়ে নিচ্ছে না বলে আমাদের কাছেও অভিযোগ এসেছে। এটা ঠিকাদারদের অবহেলা। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে আমি প্রকৌশল বিভাগকে অবহিত করেছি। স্থানীয়দের অভিযোগ, মাটি উত্তোলন করার পর তা সড়ক বা ফুটপাথে রাখা হয়। এর মধ্যে কিছু মাটি আবার নালা-নর্দমায় পড়ে যায়। কিছু আবার ফুটপাথ বেড়ে মূল সড়কে চলে আসে। ফলে চরম দুর্ভোগ আর ভোগান্তিতে পড়তে হয় পথচারীদের। চসিকের প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ঠিকাদারের মাধ্যমে নগরীর ৬০ কিলোমিটার খাল ও ১০০ কিলোমিটার খাল খনন কাজ শুরু হয়। এ জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে আছে চাক্তাই খাল, মির্জা খাল, রাজা খাল, চশমা খাল, নাছির খাল, বির্জা খাল, খন্দকিয়া খাল, কাজির খাল, গয়নাছড়া খাল, বামনশাহী খাল, কাট্টলি খাল, ত্রিপুরা খাল, ডোম খাল, শীতল ঝরনাছড়া খাল, মায়া খাল, হিজড়া খাল, মহেশখাল, ডাইভারশন খাল, মরিয়ম বিবি খাল, সদরঘাট খাল, রামপুরা খাল, পাকিজা খাল, মোগলটুলী খাল উল্লেখযোগ্য।

সর্বশেষ খবর