রাজশাহী মহানগরীর আলুপট্টি ফুদকিপাড়া। পদ্মা নদীর তীর ঘেঁষে গড়ে ওঠা এই এলাকায় বিকাল থেকে ঢল নামে সব ধরনের মানুষের। বিকালের অবসর সময়টুকু কাটাতে বিনোদন কেন্দ্র হিসেবেই এলাকাটি বেছে নেন তারা। কিন্তু নদীর পাড়ে গড়ে তোলা হয়েছে গোয়ালঘর। নদী তীরের বড় একটি অংশজুড়ে পালন করা হচ্ছে গরু। নগরীর লালন শাহ পার্ক এলাকাটি ইতিমধ্যে তারের বেড়া দিয়ে ঘিরে ফেলেছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন। পদ্মা পাড়ের এই পার্কটি ইজারা দেওয়া প্রক্রিয়া শুরু করেছিল রাসিক। সেই ঘেরা পার্কের ভিতরে রীতিমতো বাথান গড়ে তুলেছেন দরগাপাড়া ও পাঠানপাড়া এলাকার লোকজন। পদ্মা পাড়ের এই পার্কটির মধ্যে গড়ে তোলা হয়েছে একাধিক গোয়ালঘর।
নগরীর মুন্নুজান স্কুলের সামনের পদ্মার পাড়টির ব্যবহার করা হচ্ছে গরু রাখার স্থান হিসেবে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সেখানে গরু বেঁধে রাখা হচ্ছে। গোবরের গন্ধে ওই এলাকা দিয়ে হাঁটা দায় হয়ে পড়েছে। এমন হাল নগরীর পদ্মা পাড়ের প্রায় ৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে। গরু রাখা ও গোয়ালঘর নির্মাণ করে চলছে পদ্মা পাড়ের জায়গা দখলের উৎসব। নগরীর পাঠানপাড়া এলাকার আরিফুর রহমান জানান, এক বছর আগেও পদ্মাপাড়টি ছিল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। লালন শাহ পার্ক নির্মাণ হওয়ার পর প্রতিদিনই বিপুল পরিমাণ মানুষ এখানে আসেন। কিন্তু এখন পার্কের ভিতরে নির্মাণ করা হয়েছে গোয়ালঘর। স্থানীয়রা জায়গা দখল করে গোয়ালঘর নির্মাণ করেছেন। ফুদকিপাড়া এলাকার কামার উল্লাহ সরকার জানান, পদ্মাপাড়ের এই এলাকাটিতে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড চলে। এখন গোয়ালঘর নির্মাণ হওয়ায় সেখানে দর্শকরা যেতে পারছেন না। পদ্মা পাড়ের জায়গা দখল করে গোয়ালঘর নির্মাণ করা হলেও এ নিয়ে কোনো পদক্ষেপ নেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেসুর রহমান জানান, রাজশাহী সিটি করপোরেশন পদ্মা পাড়ের উন্নয়ন করে বিনোদন কেন্দ্র করছে। এটি তারাই দেখাশোনা করে। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক জানান, তারা বিষয়টি অতি সম্প্রতি জানতে পেরেছেন। পদ্মা পাড়ের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে শিগগিরই তারা উচ্ছেদ অভিযান চালাবেন।