মঙ্গলবার, ৩১ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা

গাজীপুরে রেলওয়ের জমি প্রভাবশালীদের দখলে

আফজাল, টঙ্গী

গাজীপুরে রেলওয়ের জমি প্রভাবশালীদের দখলে

গাজীপুরে রেলওয়ের বিপুল পরিমাণ জমি প্রভাবশালীদের দখলে চলে গেছে। কোটি কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি দখল করে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে ঝুটের গোডাউন, বাড়ি, দোকানপাটসহ বিভিন্ন স্থাপনা। রেলওয়ের লোকজনকে ম্যানেজ করে প্রভাবশালীরা লিজের নামে বেনামে নির্মাণ করেছেন অসংখ্য স্থাপনা। অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে রেলের সম্পত্তি দখল মুক্ত করতে না পারায় সরকার প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, টঙ্গী রেলওয়েব্রিজ সংলগ্ন বউবাজার, রেলগেট, বনমালা, টঙ্গী রেলস্টেশন, ধীরাশ্রম, পুবাইল কলেজ গেট, নিমতলী, জয়দেবপুর রেলস্টেশনসহ টঙ্গী থেকে শ্রীপুর পর্যন্ত প্রায় ৩২ কিলোমিটার রেললাইনের উভয় পাশে দখলদাররা শত শত বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করেছে। এসব অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ রেলওয়ের কার্যকর কোনো মামলা এমনকি নিয়মিত উচ্ছেদ অভিযান না থাকায় দখলদাররা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। টঙ্গী রেলগেট এলাকায় জনৈক আসাদ সিদ্দিকী রেলওয়ের জায়গা দখল করে বেশ কয়েকটি স্থাপনা নির্মাণ করেন। এ ঘটনায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। বনমালা এলাকায় আনসার মোল্লা রেলওয়ের জায়গা দখল করে বেশ কয়েকটি দোকান নির্মাণ করেছেন। টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন ঘেঁষে বিশাল মার্কেট বানিয়েছেন সফি হাবিলদার। তবে সফি হাবিলদার বলেন, তিনি লিজ নিয়েই মার্কেট বানিয়েছেন। এ ছাড়া শামীম, আলমগীর ও শ্রীপুরের হারিচ মিয়ার বিরুদ্ধে  রেলওয়ের সম্পত্তি দখলের অভিযোগ রয়েছে। দখলদারদের বিরুদ্ধে মামলা হলেও রেলের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি দখল মুক্ত করতে পারেনি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এখনো বহাল তবিয়তে আছে দখলদাররা। এ ছাড়া নতুনভাবে রেলওয়ের বিপুল পরিমাণ ভূমি জবর দখলসহ ভোগ দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, সরকারি জায়গা যে যেভাবে পারছে সে সেভাবেই দখল করে নিয়েছে। এ বিষয়ে টঙ্গী উপ-সহকারী প্রকৌশলী আতিকুল ইসলাম বলেন, স্থাপনা উচ্ছেদ করার পরও অনেকে আবার দখল করে নেয়। এ ব্যাপারে রেলওয়ে এস্টেট অফিসার মো. হাবিবুল্লাহ রেলওয়ের লোকজনকে ম্যানেজ করে দখলের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর