মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে আধুনিক ওয়ার্ড

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে আধুনিক ওয়ার্ড

চট্টগ্রাম মহানগরীর জামালখান ওয়ার্ড এখন ‘তাক লাগানো’ একটি ওয়ার্ড। আধুনিক প্রযুক্তি, পরিচ্ছন্নতা, ঐতিহ্য-সংস্কৃতির আধার হয়ে উঠেছে এক বর্গকিলোমিটারের এই ওয়ার্ড। অতীতের ‘হেলদি ওয়ার্ড’ খ্যাত এটি এখন সৌন্দর্যের প্রতিভূ হয়ে উঠেছে। হয়েছে আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু। সন্ধ্যার পর ভিড় জমে জামালখান ‘ডা. আবুল হাসেম’ মোড়ের নবনির্মিত ঝরনা দেখতে।   

দেশের এবং চট্টগ্রামের প্রথম এমন অনেক কিছুই প্রবর্তন করা হয়েছে এই ওয়ার্ডে। ইতিমধ্যে সাত লাখ টাকায় দেওয়া হয়েছে ফ্রি ওয়াইফাই, একটি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিতে স্থাপন করা হয়েছে বায়োমেট্রিক মেশিন, ওয়ার্ডে স্থাপিত হয়েছে সিসি ক্যামেরা, আবর্জনাযুক্ত ১০টি পরিত্যক্ত স্থানকে করা হয়েছে সৌন্দর্যময়, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দেওয়া হচ্ছে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা (ডায়াবেটিস টেস্ট, ব্লাড টেস্ট, রক্তচাপ নির্ণয়), দেশের ঐতিহ্যের অংশ চেরাগী মোড়কে ৫ লাখ টাকা ব্যয়ে করা হয়েছে আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন।

তাছাড়া যুক্ত হচ্ছে আধুনিক মডেল যাত্রী ছাউনি। ২০ জনের ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ৩৫ ফুট দৈর্ঘ্যের আধুনিক যাত্রী ছাউনি হবে এটি। ৩০০ ফুট ফুটপাথের ওপর তৈরি করা হবে ফুড জোন। থাকবে নান্দনিক গার্ডেন, বার্ড জোন, বুক স্টল, ফাস্টফুডের দোকান, ৫টি স্ট্রিট বেঞ্চ, দুটি শৌচাগার, পর্যাপ্ত আলোকায়ন, এলইডি টেলিভিশন ও ফ্রি ওয়াইফাই জোন।

থাকবে নান্দনিক পার্কিং টাইলস ও আধুনিক স্ট্রিট লাইট। জামালখান মোড়ের এজি চার্চ স্কুলের সামনে থেকে পিডিবি অফিসার্স কোয়ার্টারের গেটের সামনে পর্যন্ত প্রায় ৩০০ ফুট ফুটপাথটির সৌন্দর্যবর্ধন ও উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে এসব কাজ বাস্তবায়ন করা হবে।

চসিক এক্স কাউন্সিলর ফোরামের সদস্য সচিব মুহাম্মদ জামাল হোসেন বলেন, নগরবাসী আবর্জনা, জলাবদ্ধতা ও স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে বড়ই কষ্টে আছে। আমরা চাই নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডই এমন হোক।

জামালখান ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শৈবাল দাস সুমন বলেন, মানুষ আমাকে না চিনে না বুঝে ভোট দিয়েছে। কিন্তু এই পাঁচ বছরে আমি মানুষের কাছে আমার প্রকৃত পরিচয় তুলে ধরতে চাই- কাজ, উন্নয়ন ও ভালোবাসা দিয়ে। এই পাঁচ বছর আমি কাউন্সিলরের চেয়ারেও বসব না বলে ঘোষণা দিয়েছি।

চলতি পাঁচ বছর সময়ে প্রাণপণ চেষ্টা করে জনগণের মনে স্থান করে নেব। আগামী নির্বাচনে ভোটাররা নির্বাচিত করলে তখনই আমি চেয়ারে বসব। এটি আমার প্রতিশ্রুতি।   

জানা যায়, জামালখান ওয়ার্ডকে পরিপূর্ণ পরিচ্ছন্ন রাখা, সিসিক্যামেরার আওতায় আনা, ওয়ার্ডের স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোর পরিবর্তন, নাগরিক সেবা প্রদানে ভোগান্তি নিরসন ও সেবা অনলাইনকেন্দ্রিক করা, আবর্জনামুক্ত করতে পারলেই কাউন্সিলর নিজ চেয়ারে বসার প্রতিশ্রতি দিয়েছেন। এর মধ্যে কিছু কাজ শুরু হয়েছে, কিছু পরিকল্পনাধীন। তবে বর্তমান মেয়াদের মধ্যে সবগুলো উন্নয়ন সম্পূর্ণ শেষ করার পরিকল্পনা নিয়ে কাউন্সিলর কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানা যায়।

সর্বশেষ খবর