মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

বর্জ্যের দূষণরোধে আধুনিক ট্রান্সফার স্টেশন

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

বর্জ্যের দূষণরোধে আধুনিক ট্রান্সফার স্টেশন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে সিলেট নগরীর টিলাগড়ে নির্মিতব্য ট্রান্সফার স্টেশন

সিলেট মহানগরীতে প্রতিদিন প্রায় আড়াইশ মেট্রিক টন বর্জ্য উৎপাদন হয়। প্রতিদিন এসব বর্জ্য খোলা ডাস্টবিনে পড়ে থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায়, দূষিত করে পরিবেশ। ভোগান্তি পোহান নগরবাসী। তবে এবার বর্জ্য দূষণরোধের উদ্যোগ নিয়েছে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়নে নির্মিত হচ্ছে চারটি সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন। এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে এ স্টেশনগুলো নির্মাণে খরচ হচ্ছে ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা। সিসিক সূত্র জানায়, সিলেট নগরীতে প্রতিদিন যেসব বর্জ্য উৎপাদন হয়, সেসব বর্জ্য খোলা ডাস্টবিনে দীর্ঘ সময় ধরে পড়ে থাকে। রাতে সব বর্জ্য ট্রাক দিয়ে সিসিকের ময়লা-আবর্জনা ফেলার স্থায়ী জায়গা দক্ষিণ সুরমার পারাইরচক গার্বেজ গ্রাউন্ডে ফেলা হয়। তবে বর্জ্য পরিষ্কারের আগে খোলা জায়গায় পড়ে থাকার কারণে ছড়ায় দুর্গন্ধ। পরিবেশের দূষণের পাশাপাশি দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হন নগরবাসী। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সিলেট নগরীর টিলাগড়, শাহী ঈদগাহ, রিকাবীবাজার ও দক্ষিণ সুরমার স্বর্ণশিখা আবাসিক এলাকায় সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন নির্মাণ করছে সিটি করপোরেশন। ইতিমধ্যে টিলাগড়, শাহী ঈদগাহ ও রিকাবীবাজারের ট্রান্সফার স্টেশনের কাজ প্রায় শেষ হয়ে গেছে। কিছুদিনের মধ্যে এ তিনটি স্টেশন উদ্বোধনের ব্যাপারে আশাবাদী নগর কর্তৃপক্ষ। এসব ট্রান্সফার স্টেশন চালু হলে নগরীর বর্জ্য ভ্যানে করে সরাসরি সেখানেই নিয়ে যাওয়া হবে। ট্রান্সফার স্টেশনে বর্জ্য পরিশোধনের পর ট্রাক দিয়ে গার্বেজ গ্রাউন্ডে নিয়ে যাওয়া হবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়নের এ উদ্যোগ নগরবাসীকে স্বস্তি দেবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। সিসিক সূত্র জানায়, প্রতিটি ট্রান্সফার স্টেশন নির্মাণে খরচ হচ্ছে ৮০ লাখ টাকা। চারটি ট্রান্সফার স্টেশন নির্মাণে মোট ব্যয় হচ্ছে ৩ কোটি ২০ লাখ। সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীব জানান, ট্রান্সফার স্টেশনগুলো চালু হলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আরও সহজ হবে। নগরীর প্রায় অর্ধেক এলাকা আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আওতায় আসবে।

সর্বশেষ খবর