কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন ৩০ মার্চ। ভোটারদের মাঝে চলছে নানা হিসাব-নিকাশ। ২১ মার্চ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমা তার নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। ইশতেহারে তিনি ২৯ দফায় উন্নয়ন করবেন উল্লেখ করে যানজট, জলাবদ্ধতা নিরসনসহ কুমিল্লাকে আধুনিক নগরী হিসেবে প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন। এ ছাড়া তিনি নির্বাচিত হলে ১০০ বছরের পরিকল্পনাকে সামনে রেখে আগামী ৫ বছর কাজ করতে
চান বলেও উল্লেখ করেন। এদিকে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু ২৪ মার্চ তার নির্বাচনী ইশতেহারে তিনি পুনর্নির্বাচিত হলে জলাবদ্ধতা এবং যানজট নিরসন করবেন বলে জানান। তিনি পুরাতন গোমতী নদীতে ঢাকার হাতিরঝিলের আদলে একটি বিনোদন কেন্দ্র গড়ারও কথা বলেন। পাশাপাশি তারা দুজনই বিশ্ববিদ্যালয় করার কথা বলেন। ইশতেহারে তাদের অনেক প্রতিশ্রুতিকে বিশিষ্ট নাগরিকরা কল্পনাবিলাসী বলে মন্তব্য করেছেন।
লালমাই, ময়নামতি এবং গোমতী নদীকে কেন্দ্র করে একটি মনোরম পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। ইতিমধ্যে পুরাতন গোমতী নদীতে ঢাকার হাতিরঝিলের আদলে একটি বিনোদন কেন্দ্র গড়তে ২০০ কোটি টাকার প্রকল্প শিগগিরই বাস্তবায়িত হবে। দক্ষিণাঞ্চলে একটি স্টেডিয়াম ও প্রাসঙ্গিক অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে। শিশুদের কল্যাণে এখানে একটি শিশুপার্ক নির্মাণ করা হবে।
নিউমার্কেটের ৫ম তলায় একটি আইটি সেন্টার গড়ে তোলা হচ্ছে। দুই প্রার্থীর ইশতেহার নিয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ডা. মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, স্বপ্নের প্রয়োজন আছে, তবে আমাদের বাস্তবমুখী থাকতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় আর আইটি পার্কের আগে জলাবদ্ধতা আর যানজটের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। কুমিল্লায় ওয়াসার মতো একটি প্রতিষ্ঠান প্রয়োজন। সুজন কুমিল্লার সহ-সাধারণ সম্পাদক মায়মুনা আক্তার রুবী বলেন, আকাশ ডাক দিলে কুমিল্লার মানুষের মন খারাপ হয়ে যায়। কারণ, তাকে জলাবদ্ধতায় পড়তে হবে। তাই জলাবদ্ধতা আর যানজট নিরসনে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।