মঙ্গলবার, ৯ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

বন্দরের স্থাপনার খোঁজে চসিক!

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

বন্দরের স্থাপনার খোঁজে চসিক!

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) রাজস্ব আদায় বাড়াতে চট্টগ্রাম বন্দরের স্থাপনার খোঁজে নেমেছে। ইতিমধ্যে বন্দর কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন স্থাপনার তথ্য সংগ্রহ করতে পাঁচটি টিমও গঠন করা হয়েছে। রাজস্ব বিভাগের আট সার্কেলের ২০ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। চসিকের রাজস্ব বিভাগ সূত্র জানায়, প্রতি বছর চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ চসিককে ৩৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা কর দিয়ে আসছে। প্রতি বছর নতুন করে কর পুনর্মূল্যায়ন করা হলেও চট্টগ্রাম বন্দর দীর্ঘদিন এ টাকাই দিয়ে আসছে। কিন্তু এর বিপরীতে চট্টগ্রাম বন্দর প্রতিনিয়তই সমৃদ্ধ হচ্ছে। বাড়ছে বন্দরের নিজস্ব স্থাপনাও।

চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, নিয়ম মতে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর কর পুনর্মূল্যায়ন করা হয়। বন্দর আমাদের বৃহত্তম করদাতা প্রতিষ্ঠান। এই হিসাবে বন্দরেরও কর পুনর্মূল্যায়ন করা হবে। তবে বন্দর যেহেতু সমৃদ্ধশীল একটি প্রতিষ্ঠান, তাই যথাযথভাবে কর পুনর্মূল্যায়ন করতে মৌজা ও মহল্লাভিত্তিক ২০ জনের টিম গঠন করা হয়েছে। এই টিম বন্দরের সব স্থাপনার করপুর্নমূল্যায়ন করবে। পরে নির্ণিত স্থাপনার ওপর কর নির্ধারণ করা হবে। জানা যায়, ৪১ ওয়ার্ডকে পাঁচটি জোনে ভাগ করে প্রতি জোনে একজন কর কর্মকর্তা, একজন সার্ভেয়ার (অথবা ভূমি পরিদর্শক), দুজন অফিস সহায়ককে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

এর মধ্যে সদরঘাট, এনায়েত বাজার, আন্দরকিল্লা ও ফিরিঙ্গি বাজার এলাকা নিয়ে ১ নং জোন, গোসাইলডাঙ্গা এলাকা নিয়ে ২ নং জোন, দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর নিয়ে ৩ নং জোন, দক্ষিণ হালিশহর নিয়ে ৪ নং জোন এবং উত্তর পতেঙ্গা, পূর্ব পতেঙ্গা ও দক্ষিণ পতেঙ্গা এলাকা নিয়ে ৫ নং জোন গঠিত।

বর্তমানে চসিকে সরকারি হোল্ডিং সংখ্যা ২ হাজার ২৮১টি এবং বেসরকারি হোল্ডিং সংখ্যা এক লাখ ৫৪ হাজার ৮৫০টি।

সরকারি-বেসরকারি হোল্ডিংস থেকে বছরে বকেয়াসহ চসিকের মোট দাবি থাকে ৩৪৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা। এর মধ্যে বকেয়াসহ বার্ষিক আদায় হয় ৭৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।

তবে এসব বকেয়া আদায়ে চসিক এবার নতুন করে নানা উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্যে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সচেতনতামূলক সভা, কর পুনর্মূল্যায়নে সরাসরি রাজস্ব কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎসহ নানা কর্মসূচি গ্রহণ।

সর্বশেষ খবর