মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

দুর্ভোগের নিত্যসঙ্গী এক্সেস রোড

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম


দুর্ভোগের নিত্যসঙ্গী এক্সেস রোড

বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক এলাকা খ্যাত আগ্রাবাদের এক্সেস রোড। গত প্রায় পাঁচ মাস ধরে চরম বেহাল ও ক্ষতবিক্ষত। সড়কে তৈরি হয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত। গর্তে জমে থাকে পানি। এ সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা, পায়ে হাঁটাও দায়। বড় গর্তে যানবাহনের চাকা পড়ে প্রতিনিয়তই নষ্ট হয়। এই সড়কেই গড়ে উঠেছে অত্যাধুনিক, বৈচিত্র্যপূর্ণ ও দৃষ্টিনন্দন ৬০টি ফার্নিচারের দোকান।

জানা যায়, ক্ষতিগ্রস্ত এই সড়ক বেহাল হয়ে আছে গত ছয় মাস ধরে। এ নিয়ে কর্তৃপক্ষের কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই। ফলে স্থানীয় ফার্নিচার ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত ক্ষতির মুখে আছেন বলে জানা যায়। ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সংস্কার দাবিতে গত ২৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ফার্নিচার শিল্প মালিক সমিতি চট্টগ্রাম বিভাগ বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করে। পরে ফার্নিচার ব্যবসায়ীরা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে একটি স্মারকলিপিও দেন।

বাংলাদেশ ফার্নিচার শিল্প মালিক সমিতি চট্টগ্রাম বিভাগের সভাপতি সৈয়দ এস এম নুর উদ্দিন বলেন, ‘এক্সেস রোডে অত্যাধুনিক ৬০টি ফানিচারের দোকান আছে। প্রতিটি দোকানে ৮০ লাখ থেকে অন্তত ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত পুঁজি আছে। এতবড় অংকের অর্থ পুঁজি দিয়েও গত চার মাস ধরে আমরা কোনো ব্যবসা করতে পারিনি। গত চার মাসে আমাদের সবার মিলে অন্তত ১০০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। তিনি বলেন, সড়ক সংস্কার দাবিতে আমরা ইতিমধ্যে মানববন্ধন করেছি, স্মারকলিপি দিয়েছি। আগামীতে আরও কঠোর আন্দোলনের পরিকল্পনা আছে। কারণ, আমাদের তো বাঁচতে হবে।’ গত বর্ষা মৌসুমে সিংহভাগ সময় ডুবেছিল এক্সেস রোড। পরে একপাশে তালিজোড়া দিয়ে সংস্কার করা হয়েছে ইট দিয়ে। কিন্তু অন্যপাশে বড় বড় গর্তে জমে আছে পানি। ফলে এই পাশ দিয়ে কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। তবে কিছু অংশে ইট দিয়ে সংস্কার করলেও অনেক অংশই বেহাল অবস্থায় আছে। ক্ষতবিক্ষত সড়ক দিয়ে তিন চাকার কোনো যানবাহন চলতে পারে না। যাতায়াতকারীদের পড়তে হয় চরম দুর্ভোগে। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা জানান, এক্সেস রোডের দুই পাশে নান্দনিক ডিজাইনের ফার্নিচারের দোকান ছাড়াও আছে আশপাশের বিস্তৃত আবাসিক এলাকা। এর মধ্যে আছে আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা, বেপারিপাড়া, গুলবাগ, শান্তিবাগ, হালিশহর, ছোটপুল ও বড়পুল। এসব এলাকার মানুষকে চরম কষ্ট করে যাতায়াত করতে হয়। এর সঙ্গে আছে স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির যাতায়াত। সবচেয়ে দুরূহ অবস্থায় পড়েন হাসপাতাল-ক্লিনিকে যাওয়া রোগীরা।

সর্বশেষ খবর