চট্টগ্রাম নগরের কর্ণফুলী শাহ্ আমানত সেতুর উত্তর পাড়ের গোলচত্বর। এখানে সড়কের ওপরই দাঁড়িয়ে থাকে দক্ষিণ চট্টগ্রামগামী বাসগুলো। কিছু আবার দাঁড়িয়েছে সড়কের পাশের চত্বরে। একটি বাস সড়কের ওপর অন্তত ১০ থেকে ২০ মিনিট পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থেকে যাত্রী তোলে। এটি ওই সড়কের নিত্য চিত্র। যাত্রীদের অভিযোগ, সড়কের ওপর গাড়ি দাঁড় করিয়ে যাত্রী তোলার কারণে প্রতিনিয়তই লেগে থাকে যানজট। বাড়ে দুর্ভোগ ও ভোগান্তি।
কেবল কর্ণফুলী গোলচত্বর নয়, নগরের প্রায় প্রতিটি সড়কে গড়ে উঠেছে ‘বাস টার্মিনাল’। নগরের সিনেমা প্যালেস মোড়, বিআরটিসি মোড়, অলংকার মোড়, গরীবুল্লাহ শাহ্ (রহ.) মাজার মোড়, লালদীঘির পূর্ব-উত্তর পাড়, মাদারবাড়ি, সিইপিজেড মোড়, বিমানবন্দরসহ নগরের অনেক সড়কের মোড়ই এখন অলিখিত বাস স্টপেজে পরিণত হয়েছে। এসব সড়কে বাস ছাড়াও থাকে ট্রাক, অটোরিকশা-অটোটেম্পো ও হিউম্যান হলার। অন্যদিকে, উত্তর চট্টগ্রামের প্রবেশপথ মোহরা রাস্তার মাথা এবং অক্সিজেন মোড়ও অনেকটা বাস টার্মিনালে রূপ নিয়েছে। বন্দরনগরী চট্টগ্রামে আছে মাত্র একটি বাস টার্মিনাল। নগরের ‘বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল’ নামে এটি নির্মিত হয় ২৩ বছর আগে ১৯৯৫ সালে। ৬০ লাখেরও বেশি জনসংখ্যা অধ্যুষিত চট্টগ্রাম নগরে মাত্র একটি বাস টার্মিনাল! এ নিয়ে কোনো সংস্থার কোনো পরিকল্পনাও দেখা যায় না।