শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

সড়ক ও ফুটপাথজুড়ে নার্সারি

শাহজাদা মিয়া আজাদ, রংপুর

সড়ক ও ফুটপাথজুড়ে নার্সারি

রংপুর নগরীর প্রধান সড়কের পাশে সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ ঘেঁষে সড়ক এবং ফুটপাথ দখল করে গড়ে উঠেছে আটটি নার্সারি

রংপুর নগরীর প্রধান সড়ক সংলগ্ন পাশাপাশি দুটি সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সরকারি রংপুর টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের প্রধান গেট থেকে সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের দূরত্ব ২০০ গজ। এ এলাকার ফুটপাথ ও  সড়কে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে আটটি নার্সারি। এ কারণে পথচারী ও শিক্ষার্থীরা ফুটপাথ এবং সড়ক দিয়ে স্বচ্ছন্দে চলতে পারছেন না।  

এসব নার্সারির মালিক নির্লিপ্তভাবেই বলেছেন, সড়ক ও ফুটপাথে নার্সারি বানিয়ে তারা দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে এলেও সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের বাধা এ পর্যন্ত আসেনি। তবে কয়েকজন নার্সারি মালিক দাবি করেছেন, এ জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং পুলিশকে নিয়মিত টাকা দিতে হয়। সরেজমিনে দেখা গেছে, স্কুল শুরু ও ছুটির সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দুটির সামনে প্রচণ্ড ভিড় হয়। যানজট ও শিক্ষার্থীজটে একাকার হয়ে পড়ে। নামহীন নার্সারিগুলোতে নানা প্রজাতির গাছের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের টব ও আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র রাখায় ফুটপাথ ও সড়কের প্রায় অর্ধেক হারিয়ে গেছে। সারাদিন বিক্রেতারা দাঁড়িয়ে থাকেন, ক্রেতাদের সঙ্গে দেনদরবার করেন। পথচারীদের কেউ ফুটপাথ ধরে এলেও এখানে এসে তাকে রাস্তায় নামতে হয়। নার্সারিগুলোর কারণে সেখানে বখাটে ছেলেদের উৎপাত বেড়েছে। তারা ছাত্রীদের বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করে বলে অভিভাবকদের অভিযোগ। এক নার্সারির মালিক হাসান আলী জানান, দুই বছর ধরে এখানে ব্যবসা করছি। সড়ক বিভাগের লোক আসে। চা-পান খাওয়ার টাকা নিয়ে চলে যায়।

এখানে বসতে কারও অনুমতি নিতে হয়েছে কি না জানতে চাইলে নার্সারি মালিক শাহিনুর রহমান বলেন, ব্যবসা চালাতে সড়ক বিভাগের লোক এবং পুলিশকে নিয়মিত টাকা দিতে হয়।

সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, নার্সারিগুলো শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সমস্যা করছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও কাজ হচ্ছে না।   

এলাকাটি সিটি করপোরেশনের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের আওতায়। ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল ইসলাম বলেন, নার্সারি গড়ে তোলার কারণে দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনের এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বিষয়টি সিটি মেয়রকে জানিয়েছি যেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে নার্সারিগুলো উচ্ছেদে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

রংপুর সিটি মেয়র সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু বলেন, বেশ কিছুদিন আগে নার্সারিগুলো তুলে দেওয়া হয়েছিল।

দীর্ঘদিন করপোরেশনে ম্যাজিস্ট্রেট না থাকায় নার্সারিগুলো উচ্ছেদ করতে পারছি না।

সর্বশেষ খবর