মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

গাজীপুরে গ্যাসের জন্য হাহাকার

আফজাল, টঙ্গী

গাজীপুরে গ্যাসের তীব্র সংকটে নগরবাসীর মধ্যে হাহাকার চলছে। এতে চরম দুর্ভোগের শিকার এলাকাবাসী। আবাসিক গ্রাহকরা গ্যাস না পেয়ে সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। অপরদিকে কারখানার মালিকরা নিয়মিত গ্যাস না পেয়ে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় কোটি কোটি টাকা লোকসান গুনছেন। তবে উপকৃত হচ্ছেন দামি গাড়ির মালিকরা। গাড়িতে তেল ব্যবহারের পরিবর্তে স্বল্পমূল্যে গ্যাস ব্যবহার করে। আবার দীর্ঘদিন আবাসিক ও শিল্প কারখানায় গ্যাস সংযোগ বন্ধ থাকায় অবৈধ ব্যবহার বাড়ছে। এতে সরকারও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, নগরীতে গ্যাসের চাপ কম থাকায় বাসাবাড়িতে ঠিকমতো চুলা জ্বলছে না আর শিল্প-কারখানায় মেশিন ঘুরছে না। ফলে এক বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। গ্যাস কর্তৃপক্ষ অভিযান চালিয়ে অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলেও কোনো সুরাহা মিলছে না। টঙ্গীর সিলমুন, মরকুন, আরিচপুর, চেরাগআলী, দত্তপাড়া, আউচপাড়া, দেওড়া, খাঁ-পাড়া, মুদাফা, ভাদাম, গাজীপুরা, পূবাইল, মিরাবাজার, বড়বাড়ী, বোর্ডবাজার, মালেকের বাড়ী, গাজীপুর সদর, ছায়াবীথি, বিলাশপুর, কাশেমপুর, কোনাবাড়ী, কালীগঞ্জ এলাকার একই চিত্র। মরকুন এলাকার এক বাসিন্দা ও নগরীর ৪৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হেলাল উদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন গ্যাস সমস্যায় ভুগছি। গ্যাস না পেলেও গ্যাস বিল পরিশোধ করে যাচ্ছি। বর্তমানে সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করছি।

আনুদীপ সিএনজি পাম্পের ম্যানেজার সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘ভাই গ্যাসের চাপ কম থাকায় আমাদের অবস্থাও খারাপ।’ টঙ্গী বিসিক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন শেখ ও কারখানা মালিক মোমিন উল্লাহ মোমিন বলেন, বিসিক এলাকায় নিয়মিত গ্যাস না পেয়ে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

এ বিষয়ে আমরা তিতাস গ্যাস অফিসের এমডির সঙ্গে সভা করেছি। তিনি আমাদের আগামী কয়েক মাসের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন। তিতাস টঙ্গী জোনের ম্যানেজার প্রকৌশলী অজিত চন্দ্র দেব বলেন, ন্যাশনাল গ্রিড থেকে ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে, ফলে গ্যাসের চাপ কমেছে। এ বিষয়ে পেট্রোবাংলাকে অবহিত করা হয়েছে। তা ছাড়া টঙ্গী ও গাজীপুরে বেশ কিছু ওয়াশিং কারখানায় অবৈধ সংযোগ বেড়ে যাওয়ায় কিছুটা সংকট দেখা দিয়েছে।

 

সর্বশেষ খবর