খসে পড়েছে পলেস্তরা। ভেঙে গেছে সানসেট। বাঁশ দিয়ে কোনোমতে আটকে রাখা হয়েছে ভবনের ছাদ। ঝুঁকি নিয়েই এসব ভবনে চলছে ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান, রয়েছে হোটেল, গোডাউন ও লোকবসতি। খুলনা নগরীতে এ ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ আবাসিক ভবনের সংখ্যা ৭৭টি। সিটি করপোরেশন কয়েক দফা উদ্যোগ নিয়েও ভাঙতে পারেনি এসব ভবন। ফলে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ধসে প্রতিনিয়ত বাড়ছে দুর্ঘটনার শঙ্কা।
জানা যায়, খুলনার অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর বেশির ভাগই রয়েছে বড়বাজার, ডেল্টাঘাট, ধর্মসভা রোড, খানজাহান আলী রোড, শেরেবাংলা রোড ও রামচন্দ্র দাস লেন এলাকায়। ২০০৪ সালে সিটি করপোরেশন প্রথম ৬০টি ভবনকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করে। পরবর্তীতে এই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭৭টি। এর মধ্যে ২০১৫ সালে নগরীর আহসান আহমেদ রোডে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের ছাদ ধসে স্কুলছাত্রী নিহত হয়। সম্প্রতি বড়বাজার এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ আরেকটি ভবনের ছাদের একাংশ ভেঙে পড়ে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।
সরেজমিন দেখা যায়, খুলনা বড়বাজার ভৈরব স্ট্যান্ড রোডের ঝুঁকিপূর্ণ একটি দোতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় বাঁশ দিয়ে ছাদে ঠেকনা দেওয়া হয়েছে। নিচতলায় রয়েছে কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ভবনের নিচ দিয়ে চলাচলরত শ্রমিকরা জানান, যে কোনো মুহূর্তে এ ভবন ধসে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এতে বহু মানুষ হতাহত হবে। তবে ভবনের নিচতলায় থাকা ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানের মালিক জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ভবনটির দোতলার কিছু অংশ ভেঙে সংস্কারের চেষ্টা করা হয়েছে। তবে অনুমতি না থাকায় সংস্কার কাজও ঠিকমতো করা যায়নি। খুলনা সিটি করপোরেশনের এস্টেট কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো ভাঙতে গেলেই নানা রকম বাধা আসে। সম্প্রতি তালিকায় আরও ৩০টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন যুক্ত হয়েছে। জেলা প্রশাসক মো. আমিন-উল আহসান জানান, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো অপসারণে প্রশাসনিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সিটি করপোরেশন, গণপূর্ত বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।