শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

গাজীপুরে ব্যাঙের ছাতার মতোডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক

আফজাল, টঙ্গী

গাজীপুরে ব্যাঙের ছাতার মতোডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক

নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী ক্লিনিকের মূল ফটকে নামিদামি চিকিৎসকের সাইনবোর্ড টানিয়ে দেদার চালিয়ে যাচ্ছে ক্লিনিক ব্যবসা।

গাজীপুরে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে শত শত ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও প্রাইভেট ক্লিনিক। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী ক্লিনিকের মূল ফটকে নামিদামি চিকিৎসকের সাইনবোর্ড টানিয়ে দেদার চালিয়ে যাচ্ছেন ক্লিনিক ব্যবসা। গাজীপুর সিভিল সার্জন অফিসের কোনো অভিযান না থাকায় এসব ব্যবসায়ী সেবার নামে কেড়ে নিচ্ছেন মানুষের প্রাণ।

সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, টঙ্গী সিলমুন ক্যাথারসিস, সিটি জেনারেল হাসপাতাল, স্টেশন রোড এলাকায় আল বারাকা, ঢাকা কিংস, নিউ লাইফ অ্যান্ড ট্রমা, হাসান ডায়াগনস্টিক, ব্লেস ডিজিটাল, টঙ্গী বাজার এলাকায় আফতাব জেনারেল, সিটি ডায়াগনস্টিক, চেরাগ আলী মদিনা

ডায়াগনস্টিক, একতা হেলথ কেয়ার, এশিয়া ডায়াগনস্টিক, গ্রিন ল্যাব, যমুনা ডায়াগনস্টিক, নাহার মেডিকেল, হোসেন মার্কেট এলাকায় প্রাইম জেনারেল হাসাপাতাল, ঢাকা ইম্পেরিয়াল, আল করিম, বড়বাড়ি এলাকায় প্যাসিফিক জেনারেল হাসপাতাল, সিটি ডায়াগনস্টিক, মালেকের বাড়ি ফুয়াদ ডায়াগনস্টিক, জয়দেবপুর গ্লোডেন, কোয়ালিটি, সততা ডায়াগনস্টিকসহ অসংখ্য প্রাইভেট ক্লিনিক গড়ে উঠেছে। এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নেই দক্ষ ডাক্তার, নেই যন্ত্রপাতি, নেই সেবা, নেই পরিচ্ছন্ন পরিবেশ, নেই ছাড়পত্র, ভুল চিকিৎসা, অবৈধ গর্ভপাতসহ বিভিন্ন কারণে রোগীরা মৃত্যুর  কোলে ঢলে পড়ছেন। এ ঘটনায় রোগীর স্বজনরা প্রায় সময়ই ক্ষোভে হাসপাতাল ভাঙচুর করছেন।

গত ৩ নভেম্বর শুক্রবার সকালে টঙ্গীর পাগাড় এলাকার বাসিন্দা সবুজ মিয়া তার সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী নিপা আক্তারকে টঙ্গী স্টেশন রোড এলাকায় আল বারাকা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। নিপার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা থেকে হাসপাতালের সিনিয়র সার্জন আসবেন বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কালক্ষেপণ করতে থাকে।

পরে নিপার অবস্থা বিপজ্জনক মনে হলে তার স্বজনরা তাকে স্থানীয় আবেদা মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসকরা গর্ভের শিশুটির মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন এবং নিপার অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানান। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে নিপার স্বজনরা আল বারাকা হাসপাতালে এসে কম্পিউটার, আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন।

এ বিষয়ে হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক সমিতির সভাপতি রুবেল মোল্লা বলেন, বেশির ভাগ ডাক্তার বিভিন্ন হাসপাতালে চাকরি করেন, যার ফলে নির্ধারিত সময়ে ডাক্তার পাওয়া যায় না, এর ফলে একটু দেরি হয়। তবে কোনো ডাক্তার ইচ্ছা করে রোগীর ক্ষতি

করেন না। এ ব্যাপারে গাজীপুর সিভিল সার্জন ডা. সৈয়দ মো. মনজুরুল হক বলেন, গাজীপুরে অনেক অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও প্রাইভেট ক্লিনিক রয়েছে। আমরা প্রতিটি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়ে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থ নেব।

 

সর্বশেষ খবর