বুধবার, ৩ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

মশায় অতিষ্ঠ খুলনাবাসী

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

প্রকৃৃতিতে ঋতু বদলের সঙ্গে খুলনায় বেড়েছে মশার উপদ্রব। দিনে-রাতে মশার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে নগরজীবন। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে ছোট শিশু ও শিক্ষার্থীরা।

জানা গেছে, গত দুই অর্থবছরে মশা নিধনে সিটি করপোরেশন (কেসিসি) ব্যয় করেছে প্রায় ৪ কোটি ২০ লাখ টাকা।

এর মধ্যে অ্যাডাল্ট্রিসাইড, লার্ভিসাইড ওষুধ, লাইট ডিজেল ও বিশেষ প্রক্রিয়ায় ভারতীয় ডে বি সাইফার নামের কীটনাশক ব্যবহার করা হয় মশক নিধনে। কিন্তু এত কিছুর পরও মশার উপদ্রব বন্ধ হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, নিম্নমানের ওষুধ ক্রয়, অনিয়ম, অপরিচ্ছন্ন ড্রেন ও জবাবদিহিতার অভাবে মশা নিধন হচ্ছে না। নগরীর মহেশ্বরপাশা বণিকপাড়া মেইন রোডের বাসিন্দা জাহানারা বেগম বলেন, ‘বাসাবাড়িতে দিনে রাইতে খালি মশা। একটু ওষুধ-পানি দেয় না। ঠিকমতো ড্রেনও পরিষ্কার করে না। মশার অত্যাচারে কোনো কাজ ঠিকমতো করন যায় না।’

সোনাডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা সাউদিয়া ইসলাম জানান, ‘ঘরে-বাইরে সব জায়গায় মশা। রাতে  তো মশা বিরক্ত করছেই, দিনের বেলাও মশা তাড়াতে কয়েল জ্বালিয়ে রাখতে হয়। মশার অত্যাচারে সবাই অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।’

সিটি করপোরেশন সূত্র জানিয়েছে, আবহাওয়া পরিবর্তনের এ সময় মশার উপদ্রব বাড়ে। তবে সেপটিক ট্যাংকের আউটলেট উন্মুক্ত রাখা, ড্রেনে পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়া ও ঝোপ-ঝাড় বা ফুলের বাগান

পরিষ্কার না করার কারণে মশার উপদ্রব  বেড়েছে।

কেসিসির কনজারভেন্সি অফিসার মো. আনিসুর রহমান জানান, নগরীর মশার প্রকোপ কমিয়ে আনতে উড়ন্ত মশক নিধনে ৩১টি ওয়ার্ডে ১০ জন করে তিনটি গ্রুপে ফগার মেশিন দিয়ে অ্যাডাল্ট্রিসাইড স্প্রে করা হয়েছে।

এখন মশার ডিম নষ্ট করতে ড্রেনগুলোতে লার্ভিসাইড ও লাইট ডিজেল স্প্রে করা হবে। কিন্তু লার্ভিসাইড ও লাইট ডিজেল সংকটে শুরুর দিকে কাজ কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। কনজারভেন্সি শাখার ভাণ্ডাররক্ষক উজ্জ্বল কুমার সাহা বলেন, মশক নিধনের জন্য বর্তমানে অ্যাডাল্ট্রিসাইড ২ হাজার লিটার ও লার্ভিসাইড ৬০০ লিটার মজুদ রয়েছে। চাহিদা মোতাবেক আরও ১০ হাজার লিটার অ্যাডাল্ট্রিসাইড, ২ হাজার লিটার লার্ভিসাইড কেনার প্রস্তুতি চলছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর