শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

আলো ছড়াচ্ছে যুবজাগরণ লাইব্রেরি

রফিকুল ইসলাম রনি

আলো ছড়াচ্ছে যুবজাগরণ লাইব্রেরি

তারুণ্যের মাঝে আলো ছড়াচ্ছে ‘যুবজাগরণ লাইব্রেরি ও গবেষণা কেন্দ্র’। তরুণ সমাজকে শিক্ষিত-সচেতন রাজনীতিক হিসেবে গড়ে উঠতে সহায়তা করবে ব্যতিক্রমধর্মী এই গ্রন্থাগার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দর্শন এবং আগামীর নেতা সজীব ওয়াজেদ জয়ের উন্নয়ন ভাবনা মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরীর পরিকল্পনায় রাজধানীর কাকরাইলে ও ধানমন্ডি ৫ নম্বরে এটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। যুবলীগ চেয়ারম্যানের উৎসাহ ও প্রেরণায় নিজের নেতৃত্বাধীন ইউনিটের নেতা-কর্মীদের জন্য সেই সুযোগ তৈরির প্রয়াসে রাজধানীর কাকরাইলে যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট পরিচালনা করছেন এই অভিনব গ্রন্থাগারটি। গত ফেব্রুয়ারিতে এই লাইব্রেরির উদ্বোধন করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ যা করতে পারেনি, যুবলীগ তা করে দেখিয়েছে। যুবলীগের কাছ থেকে রাজনৈতিক

দলগুলোর শিক্ষা নেওয়া উচিত। গ্রন্থাগারটি প্রসঙ্গে ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট বলেন, এই লাইব্রেরির মূল কারিগর যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী। তার নির্দেশেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দর্শন বিষয়ে নেতা-কর্মীদের অবগত করার লক্ষ্যেই এই লাইব্রেরির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তার সম্পাদনা ও তত্ত্বাবধানে যুব গবেষণা কেন্দ্র থেকে এখন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়ের রাজনৈতিক দর্শন, আদর্শ এবং লক্ষ্য নিয়ে সাড়ে তিন শতাধিক বই প্রকাশিত হয়েছে। বইগুলো পড়ে যুবলীগের নেতা-কর্মী তথা সর্বস্তরের নাগরিক যেন বাংলাদেশ ও আওয়ামী লীগের রাজনীতি সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞানার্জনের সুযোগ পায়; সেজন্যই এই লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করেন তিনি।   এ প্রসঙ্গে যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, এখন রাজনীতি হবে মেধা, মনন ও চিন্তা দিয়ে।

 রাজনীতি হচ্ছে, আদর্শ ও দর্শনের চর্চা। সে কারণে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দর্শন এবং আগামীর নেতা সজীব ওয়াজেদ জয়ের উন্নয়ন ভাবনা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতেই যুবজাগরণ ও যুব গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করেছি। সুসজ্জিত যুব জাগরণ কেন্দ্রের প্রবেশমুখেই চোখে পড়বে বিপুল রাজনৈতিক বইয়ের সমাহার, যা যে কোনো পাঠকের মন জয় করতে সক্ষম হবে। প্রদর্শনী শাখা, বিপণন কেন্দ্র ও লাইব্রেরি-এই তিন স্তরে বিভক্ত প্রতিষ্ঠানটিতে প্রতিদিন প্রায় ৪০০/৫০০ পাঠক এখানে বই পড়ার জন্য আসে। প্রতিদিন বেলা সাড়ে ১১টা থেকে রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত যুবজাগরণ কেন্দ্র খোলা থাকে। এখানে প্রতিদিন আসেন বিভিন্ন শ্রেণির পাঠক। তাদের কেউ শিক্ষার্থী, কেউ চাকরিজীবী আবার কেউ রাজনীতিবিদ। এখান থেকে যে কেউ তার পছন্দের বইটি নির্ধারিত মূল্যে কিনতে পারেন। একই জায়গায় রয়েছে বই পড়ার জায়গা। সেখানে যে কেউ যুবজাগরণ কর্তৃক প্রকাশিত বইগুলো পড়তে পারেন।

সর্বশেষ খবর