শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

জলাবদ্ধতা নিরসনে ৫৭ খালের ড্রেজিং

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

জলাবদ্ধতা নিরসনে ৫৭ খালের ড্রেজিং

নগরীর খালগুলো এভাবে ভরাট হয়ে যায়। ফলে বর্ষায় নগরজুড়ে তীব্র জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। ছবিটি চাক্তাই খাল থেকে তোলা। —দিদারুল আলম

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে ৫৭টি খাল ড্রেজিং ও পরিষ্কার করার উদ্যোগ নিয়েছে। এ লক্ষ্যে খালগুলোকে ছয় জোনে ভাগ করে ছয়জন প্রকৌশলীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। গত রবিবার চাক্তাই খালের প্রবেশ মুখ বহদ্দার হাট এলাকায় খনন প্রকল্পের কাজ উদ্বোধন করা হয়। চসিকের প্রকৌশল বিভাগ জানায়, প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুমে নগরের জলাবদ্ধতা চরম আকার ধারণ করে। এ নিয়ে নগরবাসীর দুর্ভোগের অন্ত থাকে না। বর্ষার আগে খালগুলো পরিষ্কার, নাব্যতা বৃদ্ধি ও ড্রেজিংয়ের পরিকল্পনা গ্রহণ করে। এবার ছয়টি জোনের ১৪৩ দশমিক ২০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৫৭টি খাল থেকে মোট এক লাখ ২৬ হাজার ৯৩ ঘনমিটার মাটি উত্তোলন করা হবে। চসিকের প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আসন্ন বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে নগরের খালগুলোকে ৬টি জোনে ভাগ করে ছয়জন প্রকৌশলীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমাদের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে আগামী বর্ষা মৌসুমে এর সুফল নগরবাসী পাবেন।   

পরিষ্কার ও ড্রেজিং করা খালগুলোর মধ্যে আছে, পতেঙ্গা নিজাম মার্কেট খাল ১১ নম্বর থেকে ১৬ নম্বর, গুপ্ত খাল, রুবি সিমেন্ট খাল, নয়ার হাট খাল, ছাগলনাইয়া খাল, সৈকত খাল, স্লুইচ গেট ১, ২ ও ৮ নম্বর খাল, মহেশখাল, ডাইভারশন খাল, মহেশখালী খাল, নাসির খাল, রামপুর খাল, গয়নার ছড়া খাল, পাকিজা খাল, কাট্টলী খাল, কুমার খাল, মোগলটুলী খাল, সদরঘাট খাল ১ ও ২, ফিরিঙ্গি বাজার খাল, টেকপাড়া খাল, কলাবাগিচা খাল, মরিয়মবিবি খাল, চাক্তাই খাল, বদরখালী খাল, জামালখান খাল, চট্টেশ্বরী খাল, হিজড়া খাল, চাক্তাই ডাইভারশন খাল, রাজাখালী খাল, বির্জা খাল, ডোমখালী খাল, বালুখালী খাল, গেটখালী, মির্জা খাল, ত্রিপুরা খাল, শীতল ঝরনা খাল, বামুনখালী শাহ খাল, উত্তরা খাল, নোয়া খাল, ফরেস্ট খাল, কৃষ্ণখালী খাল, খন্দখিয়া খাল, কুয়াইশ খাল, যুগীরখোল খাল।       

প্রতি বর্ষায় জলাবদ্ধতার ভোগান্তি নগরবাসীর জন্য রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত বর্ষার এক মৌসুমেই চট্টগ্রাম নগরে ছয়বার জলাবদ্ধতা হয়। তা ছাড়া নগরের আগ্রাবাদ, হালিশহর, বাকলিয়াসহ নগরের অনেক নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতার সঙ্গে যোগ হয় জোয়ারের পানিও। গত বর্ষায় আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকার বেশ কিছু অফিস নৌকা কেনে। প্রতি বর্ষা মৌসুমেই নগরের অধিকাংশ এলাকার মানুষেরই নাভিশ্বাস ওঠে।

সর্বশেষ খবর