মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

অবৈধ দখলে সড়ক সংকুচিত

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

খুলনা শহরের ময়লাপোতা থেকে নিরালা-গল্লামারী সড়কের দুই পাশে ফুটপাথ দখল করে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মিনি চাইনিজ রেস্তোরাঁ, মাছ ও সবজির দোকান। কখনো কখনো সান্ধ্য-বাজারের অস্থায়ী দোকান ফুটপাথ ছাড়িয়ে মধ্য সড়কেও চলে যায়। এখানে যানজট লেগে থাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। একইভাবে নগরীর ডাকবাংলা মোড়, শপিং কমপ্লেক্সের সামনে, ধর্মসভা মন্দির, হাদিস পার্ক, দোলখোলা রোড, ফেরিঘাট মোড়ে অবৈধ দখলে সংকুচিত হয়ে পড়েছে সড়ক। এসব জায়গায় গাড়ির চাপ সামলাতে ট্রাফিক পুলিশ হিমশিম খায়। খুলনা নগরীতে পাকা সড়ক আছে ৩০০ কিলোমিটার। এর মধ্যে সড়কের দুই পাশে ফুটপাথ প্রায় ২০০ কিলোমিটার। নগর ঘুরে দেখা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের মোড় থেকে শিববাড়ী মোড় পর্যন্ত তিন কিলোমিটার সড়ক, রূপসা ফেরিঘাট মোড় থেকে রয়েল মোড় হয়ে ডাকবাংলা মোড় পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার সড়ক, শিশু হাসপাতাল রোড, পিকচার প্যালেস মোড়, ক্লে রোড, মহারাজ চত্বর রোড, স্টেশন রোড, কদমতলা রোডের দুই পাশে চওড়া ফুটপাথ থাকলেও দখলের কারণে পথচারী চলতে পারে না। সড়কের দুই পাশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পণ্য রেখে তা অবৈধ দখলে নেওয়া হয়েছে। বড়বাজার এলাকার কালিবাড়ী রোডের দুই পাশের ফুটপাথসহ সড়কেও রাখা হয়েছে ব্যবসায়ীদের মালামাল। বসানো হয়েছে চা, পান-বিড়ির দোকান। ব্যবসায়ী মো. হাবিবুর রহমান জানান, সিটি করপোরেশনের বিচ্ছিন্ন কিছু অভিযানে এসব দোকানপাট উচ্ছেদ করা হলেও কিছুদিনের মধ্যে তা আবারও দখল হয়ে যায়। তিনি বলেন, ব্যস্ততম সড়কে ইচ্ছামতো গাড়ি পার্কিং করা হয়।

মাঝেমধ্যে সিটি করপোরেশনও ড্রেনের ময়লা মাটি তুলে সড়কের ওপর ফেলে রাখে। ফলে ভোগান্তি পোহাতে হয় নগরবাসীর। এদিকে অবৈধ দখলে পথচারীদের ভোগান্তি বাড়লেও সিটি করপোরেশনের মাথাব্যথা নেই। বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির মহাসচিব শেখ আশরাফ-উজ্জামান বলেন, নগরের সব ফুটপাথ দখল করে আছেন হকার আর ব্যবসায়ীরা। পথচারীরা হাঁটেন সড়ক দিয়ে। কোনো সভ্য দেশে এমনটি কল্পনাও করা কঠিন। খুলনা ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. কামরুল ইসলাম বলেন, অবৈধ দখল উচ্ছেদে পুলিশ প্রায়ই অভিযান চালায়। এ ছাড়া যত্রতত্র পার্কিং বন্ধেও ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। আর খুলনা সিটি করপোরেশনের কনজারভেন্সি অফিসার মো. আনিছুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ড্রেনের ময়লা নরম থাকায় তা সড়কের ওপর রাখা হয়। শুকিয়ে গেলে তা সরিয়ে ফেলা হয়। তিনি বলেন, সড়কে অবৈধ দখল উচ্ছেদে সিটি করপোরেশন নিয়মিত কাজ করছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর