চট্টগ্রাম নগরের মুরাদপুর থেকে অক্সিজেন সড়ক। মুরাদপুরের পরেই রেল লাইনের সামনে আছে বড় গর্ত। বিবির হাটের আগেই সড়কে আছে বড় বড় গর্ত। এভাবে হামজারবাগ, রউফাবাদ, আতুরার ডিপো থেকে শুরু করে অক্সিজেন মোড় পর্যন্ত সড়কটির বেহাল অবস্থা। এর সঙ্গে আছে ওয়াসার অনিয়ন্ত্রিত খোঁড়াখুঁড়ি। অক্সিজেন মোড়ের দক্ষিণে গত চার মাস ধরে ঘেরাও করে আছে ওয়াসা। এখানে চলছে ওয়াসার পাইপ লাইন স্থাপনের কাজ। ধীর গতিতে কাজ করার কারণে দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় আছে এটি। সড়কটি অতিমাত্রায় ব্যস্ত থাকার কারণে পথচারীর দুর্ভোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। সঙ্গে লেগে থাকে যানজট। জানা যায়, উত্তর চট্টগ্রামের হাটহাজারী, রাউজান, ফটিকছড়ি, রাঙ্গুনিয়া এবং রাঙামাটি, কাপ্তাই ও খাগড়াছড়িতে এই সড়ক দিয়েই যাতায়াত করতে হয়। ফলে যানজট দীর্ঘতর হয় বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। নগরবাসীর অভিযোগ, ওয়াসা পাইপ লাইন স্থাপন করবে তা ঠিক আছে। কিন্তু জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটির বড় একটি অংশ যদি দীর্ঘ চার মাস ধরে ঘেরাও করে রাখা হয়, তখন পথচারীর ভোগান্তি বাড়ে, দীর্ঘতর হয় যানজট। এ ব্যাপারে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ যদি একটু আন্তরিক হয়ে দ্রুত কাজ করে তাহলে এটি যথা সময়ে শেষ হতো। চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফয়জুল্লাহ বলেন, ‘ওয়াসার বর্তমানে চলমান প্রকল্পে বড় বড় পাইপ স্থাপনের কাজ চলছে। মুরাদপুর-অক্সিজেন সড়কের কাজ যত দ্রুত সম্ভব শেষ করা যায়, আমরা সে চেষ্টা করছি। মানুষের দুর্ভোগ যাতে কমে সেদিকে আমাদের নজর আছে। তাছাড়া আমরা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে অবগত করেই রাস্তা কেটেছি। নিয়ম মতে রাস্তা কাটার আগে অগ্রিম টাকাও পরিশোধ করছি। সিটি করপোরেশন, সিডিএ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আমরা অবগত করেই কাজ করছি।’ জানা যায়, নগরের বিভিন্ন এলাকায় ওয়াসার পানি সরবরাহে পাইপ লাইন স্থাপনের কাজ চলছে। মুরাদপুর থেকে অক্সিজেন মোড় পর্যন্ত পুরো সড়কের মাঝ পথে পাইপ লাইন নির্মাণ করছে ওয়াসা। এ সড়কের কমপক্ষে ১০ স্থানে রয়েছে ওয়াসার খনন করা বড় গর্ত। গর্তের চারপাশে ঘেরাও করে রাখা হয়েছে। ফলে পুরো সড়কটিই দুর্ভোগের সড়কে পরিণত হয়েছে। প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। অক্সিজেন মোড় এলাকার হকার করিম উদ্দিন বলেন, ‘গত চার মাস আগেই অক্সিজেন মোড়ের গর্তটি খোঁড়া হয়েছে। কিন্তু এখনো শেষ করা হয়নি। প্রতিদিন ছোট গাড়ির এক্সেল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সঙ্গে আছে যানজট।’