পঞ্জিকার পাতার হিসাবে বর্ষা শেষ হয়ে শরৎ চলছে। কিন্তু পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হলেও বর্ষার ক্ষত রয়ে গেছে নগরীর সড়কজুড়ে। রাজধানীর অসংখ্য সড়ক জলাবদ্ধতা শেষে ক্ষতবিক্ষত হয়ে আছে। এর সঙ্গে রয়েছে অপরিকল্পিত খোঁড়াখুঁড়ির ধকল। মিরপুর-১১ নম্বর সেকশনের কাঁচাবাজার থেকে যে সড়কটি পশ্চিমে প্রধান সড়কে গিয়ে মিশেছে, এখন এ বৃষ্টির সময় কাদা-পানিতে একাকার সড়কটি। খানাখন্দে ভরা সড়কের মাঝখানে স্থানে স্থানে জমে রয়েছে পানি। নিত্যদিন দুর্ভোগ সয়েই চলাচল করে এলাকাবাসী।
মেট্রোরেল, ফ্লাইওভার, ওয়াসা, ডেসাসহ বিভিন্ন সংস্থার উন্নয়নকাজে সময়ে-অসময়ে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি বাদেই রাজধানীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা ও অলিগলির অসংখ্য রাস্তার অবস্থা বেহাল। দীর্ঘদিন মেরামত না করা এর অন্যতম কারণ। এ ছাড়া নিম্নমানের কাজের কারণে বছর ঘুরতেই ভেঙেচুরে যাচ্ছে রাস্তা। উন্নয়নকাজের ধীরগতির কারণেও খানাখন্দে চলাচলে দুর্ভোগ তৈরি হচ্ছে। উন্নয়ন কাজের পরে অনেক সড়কেই দেখা যায় সিমেন্টের তৈরি সুয়ারেজের ঢাকনাগুলো উঁচু। ঢাকনার ওপর দিয়ে রিকশা চলতেও কষ্ট। দুই সিটির সড়কেই বেহাল অবস্থা। উত্তর সিটির মিরপুর-১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সালাউদ্দিন বলেন, আট মাস আগে নির্মাণ করা সড়ক এখনই খানাখন্দে ভরে গেছে। ঠিকাদারের কাছ থেকে মানসম্মত কাজ বুঝে না নেওয়ার কারণে সরকারের অপচয় হচ্ছে, জনগণেরও ভোগান্তি হচ্ছে।
মিরপুর-১১ নম্বর সেকশনের বি-ব্লকের ১ নম্বর সড়কের মাঝখানে ভাঙা। গর্ত ভরাট করতে ফেলা হয়েছে খোয়া ও ইট। পথচারী বা কোনো যানবাহন চলার অবস্থা নেই সড়কটিতে। ওই সড়কে অবস্থিত একটি বাড়ির মালিক মোসলেম উদ্দিন। তিনি বলেন, শুধু আমাদের সড়কই বেহাল নয়, মিরপুর-১১ নম্বরের একাধিক সড়কের একই দশা। অলিগলির রাস্তার দিকেও খেয়াল নেই সিটি করপোরেশনের। উত্তর সিটির ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আফসার উদ্দিন খান বলেন, অনেক সময় নিম্নমানের কাজের কারণে সড়কগুলো দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। আবার আমরা দৃষ্টি আকর্ষণ করেও সড়ক মেরামত করাতে পারি না। উন্নয়নকাজের টেন্ডার হয় কেন্দ্রীয়ভাবে সিটি করপোরেশন থেকে। কে কাজ পায় আমরা তা-ও জানি না। ঠিকাদার চিনি না। তাদের কাছ থেকে জনগণ কীভাবে ভালো কাজ বুঝে নেবে? আমরাই তো পারি না। তিনি বলেন, এসব উন্নয়নকাজে কাউন্সিলরদের সম্পৃক্ত করলে কাজ দ্রুত ও আরও বেশি মানসম্মত হবে। কারণ আমরা জনগণের কাছে থাকি। তাদের ভোটে নির্বাচিত হই, তাদের কাছে জবাবদিহি করতে হয়।