মঙ্গলবার, ২৫ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় এসটিএস

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় এসটিএস

মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন জানান, বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে আধুনিকায়ন করতে সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমান অর্থবছরে তারা কাজটি শেষ করতে চান

রাজশাহী নগরীর প্রতিদিনকার কঠিন বর্জ্য অপসারণ করে ফেলা হচ্ছে ভাগাড়ে। কিন্তু এগুলো ভাগাড় ও আশপাশের এলাকায় ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ, নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। শহরের বর্জ্যরে কারণে নষ্ট হচ্ছে জমি। রাজশাহী সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার পর থেকে একের পর এক এলাকার জমিতে তৈরি করা হচ্ছে ভাগাড়।

তবে এবার রাজশাহী সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়নে সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) নির্মাণ হতে যাচ্ছে। এসটিএস নির্মাণে নগরীর বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেছেন রাজশাহী সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। রবিবার দুপুরে তিনি নগরীর একাধিক স্থান পরিদর্শন করেন। নগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে বারবারই ভাবতে হয়েছে কর্তৃপক্ষকে। দিন যত যাচ্ছে নগরীতে মানুষের সংখ্যা বাড়ছে, সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ময়লা-আবর্জনা। পরিচ্ছন্ন নগরী হিসেবে রাজশাহীর যে সুনাম তাকেও কখনো কখনো প্রশ্নবিদ্ধ করেছে শহরের বর্জ্য। প্রতিদিন গড়ে ৩০০ টন বর্জ্য নিয়ে বেকায়দায় সিটি করপোরেশন।

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মো. মামুন বলেন, নগরীর বাড়ি বাড়ি যেসব ময়লা হয় সেগুলো তারা বাড়ির পাশে জমিয়ে রাখে। প্রতিদিন বিকাল থেকে সেগুলো ভ্যানে করে সংগ্রহ করে নির্ধারিত স্থানে রাখা হয়। আর রাতে শুরু হয় এগুলো ভাগাড়ে ফেলার কাজ। ট্রাক ও ট্রাক্টরে করে শহরে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে ৩০০ মেট্রিক টন বর্জ্য অপসারণ করে ভাগাড়ে ফেলা হয়। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির রাজশাহীর ব্যবস্থাপক তন্ময় সান্যাল বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরাও অনেকবার বলেছি।

এই শহর যেখানে নির্মল বাতাসের জন্য বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে, ‘সেখানে এমন আবর্জনার ভাগাড় থাকা উচিত নয়। ভাগাড় অবশ্যই বাউন্ডারি দিয়ে ঘিরে রাখা উচিত। সেই সঙ্গে এটি লোকালয় থেকে দূরে থাকা দরকার।’ মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন জানান, বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে আধুনিকায়ন করতে সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমান অর্থবছরে তারা কাজটি শেষ করতে চান।

সর্বশেষ খবর