রংপুর নগরীর প্রাণকেন্দ্র দিয়ে বয়ে যাওয়া শ্যামাসুন্দরী ও কেডি খাল মশা উৎপাদনের কারখানায় পরিণত হয়েছে। ফলে নগরবাসী মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। করোনা সংক্রমণের কারণে শ্যামাসুন্দরী খালের ১৭০টি অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও সংস্কার কাজ এখন থমকে আছে। নগরীর জলাবদ্ধতা দূর করতে রংপুর পৌরসভার প্রথম চেয়ারম্যান ও ডিমলার রাজা জানকী বল্লভ সেন ১৮৯০ সালে তার মা চৌধুরানী শ্যামাসুন্দরী দেবীর নামে খালটি পুনঃখনন করেন। এই খালটির আগের নাম ছিল ঘোষ খাল। এটি ঘাঘট নদী থেকে শুরু করে নগরীর ধাপ পাশারীপাড়া, কেরানীপাড়া, মুন্সিপাড়া, ইঞ্জিনিয়ারপাড়া, গোমস্তাপাড়া, সেনপাড়া, মুলাটোল, তেঁতুলতলা, নূরপুর, বৈরাগীপাড়া হয়ে মাহিগঞ্জের মরা ঘাঘটের সঙ্গে যুক্ত হয়। দীর্ঘদিন থেকে সংস্কার না করায় খালটি নাব্যতা হারিয়ে ফেলে। এর দুই ধার অবৈধভাবে দখল হয়ে যাওয়ায় সংকীর্ণ হয়ে পড়ে খালটি। সামান্য বৃষ্টিতেই শহরে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। সরকার ঐতিহ্যবাহী এই খালের সংস্কার ও পুনঃখননের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে শ্যামাসুন্দরী খালটি নাব্যতা ফিরে পাওয়ার পাশাপাশি নগরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার কথা থাকলেও এর সংস্কার কাজ থমকে থাকায় মশা উৎপাদনের কারখানায় পরিণত হয়েছে। অপরদিকে নগরীতে কেডি খাল নামে আরেকটি খাল রয়েছে। প্রায় ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই খালটি একযুগেও পরিষ্কার করা হয়নি। ফলে শ্যামাসুন্দরীর চেয়ে বেশি মশা জন্ম নিচ্ছে ওই খালে। এমনটাই অভিযোগ করেছেন খাল সংলগ্ন বাসিন্দা আবদুল আজিজ, ওসমান গনিসহ অনেকেই। রংপুর সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র মাহামুদুর রহমান টিটু জানান, সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে মশা নিধন কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। শ্যামাসুন্দরী খাল পরিষ্কার রাখার কার্যক্রমও অব্যাহত রয়েছে।