গাজীপুরে সড়ক ও মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও ইজিবাইকের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ যাত্রী-পথচারীরা। এসব যানবাহন এখন যানজটের অন্যতম কারণ। নগরে প্রতিদিন অবৈধভাবে নামছে অসংখ্য অটোরিকশা ও ইজিবাইক। এসব ছোট গাড়ি দখল করে নিয়েছে সড়ক ও মহাসড়ক। গুরুত্বপূর্ণস্থানে গড়ে উঠেছে অটোস্ট্যান্ড। সড়কে অন্যান্য গাড়ির চেয়ে এসবের সংখ্যাই বেশি। বর্তমানে সড়কে বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে এই যানবাহনটি। এতে সড়কে চলাচলে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীরা। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, গাজীপুরে সড়ক ও মহাসড়কে যানজটের অন্যতম কারণ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও ইজিবাইক। একদিকে বিআরটি কর্তৃক রাস্তার উন্নয়ন কাজের খোঁড়াখুঁড়ি, অন্যদিকে বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে খানাখন্দে সড়কের বেহাল দশা। এর সঙ্গে অটোরিকশা ও ইজিবাইকের যন্ত্রণা। এ ছাড়া সড়ক ও মহাসড়কের ফুটপাথ দখল করে নিয়েছে হকাররা। সবমিলিয়ে নগরজুড়ে হযবরল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। মানুষের ভোগান্তি দিন দিন বাড়ছে। নগরের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে অটো কারখানা। এর মধ্যে টঙ্গীর চেরাগআলী, মুন্নু মিলস কারখানা প্রাঙ্গণ, টঙ্গীর কাঁঠালদিয়া এলাকায় অটো তৈরির নিরাপদ জোন। টঙ্গীর গাজীপুরা, বড়বাড়ি, পূবাইল, বাসন, জয়দেবপুর, কোনাবাড়ী, কাশিমপুর, সালনাসহ বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে অটো কারখানা। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, প্রতিদিন সড়কে ইজিবাইক ও অটোরিকশা বাড়ছে। এসব গাড়ি চলাচলের কারণে সড়কে যানজটও বাড়ছে। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে শুধু বিআরটিকে দোষারোপ করলে চলবে না। সিটি করপোরেশন টঙ্গী এলাকায় অনেক শাখা রাস্তার উন্নয়ন কাজ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এতে টঙ্গী হয়ে গাজীপুর যাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ঠিকাদাররা কিছু কাজ করে বাকিটা অসমাপ্ত রেখে গেছে। টঙ্গী জোনের প্রকৌশলীরা বসে বসে তামাশা দেখছে। ফলে সব ধরনের গাড়ি মহাসড়কে গিয়ে উঠেছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা জ্যাম লেগে থাকছে। ট্রাফিক পুলিশরা বলছেন, আমরা প্রতিদিন এসব গাড়ি আটক করে ডাম্পিং করছি। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ) মোহাম্মদ ইলতুৎ মিশ বলেন, পুলিশ এসব গাড়ি আটকে ডাম্পিং করে কী লাভ, অটোরিকশা ও ইজিবাইক যন্ত্রাংশের আমদানি বন্ধ করতে হবে। উৎপাদন বন্ধ হলেই এর প্রতিকার মিলবে।