মঙ্গলবার, ২৪ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

সিলেট হচ্ছে তারবিহীন নগরী

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

সিলেট হচ্ছে তারবিহীন নগরী

দেশের প্রথম তারবিহীন নগরী হতে যাচ্ছে সিলেট। ইতিমধ্যে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) পাইলট প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। এখন শুরু হতে যাচ্ছে মেগা প্রকল্পের কাজ। নগরীর প্রায় ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ১১টি প্রধান সড়কের উভয় পাশের বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন মাটির নিচ দিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া পর্যায়ক্রমে মেগাপ্রকল্পের আওতায় পুরো নগরীকে তারমুক্ত করতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর কাছে ডিও লেটার পাঠিয়েছেন। এই পত্রের আলোকে মন্ত্রণালয়ে সভা হয়েছে। সভায় সিলেট নগরীর প্রধান ১১টি সড়কের পাশের বিদ্যুতের তার মাটির নিচ দিয়ে নেওয়ার প্রকল্পের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সিলেটকে তারবিহীন নগরী হিসেবে গড়ার পাইলট প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে। সিলেট ইলেকট্রিক সাপ্লাই থেকে আম্বরখানা হয়ে সিটি পয়েন্ট পর্যন্ত রাস্তার উভয়পাশের বিদ্যুতের তার মাটির নিচ দিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আম্বরখানা- চৌহাট্টা প্রধান সড়ক থেকে হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজার পর্যন্ত সড়কের উভয় পাশের বিদ্যুতের তার মাটির নিচ দিয়ে নেওয়া হয়। এরপর মাটির ওপর থেকে বিদ্যুতের তার ও খাম্বা অপসারণ করা হলে নান্দনিক রূপ পায় ওই সড়ক। তারবিহীন ওই সড়কের ছবি ও ভিডিও দেখে দেশে-বিদেশে প্রশংসা কুড়ান সিলেট-১ আসনের এমপি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

এরপর ধাপে ধাপে চৌহাট্টা থেকে জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা থেকে আম্বরখানা, জিন্দাবাজার থেকে সিটি পয়েন্ট ও জিন্দাবাজার থেকে জেলরোড পয়েন্ট পর্যন্ত সড়কের উভয় পাশ থেকে বিদ্যুতের তার ও খাম্বা অপসারণ করে মাটির নিচ দিয়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন করা হয়। এতে নগরীর সৌন্দর্য বেড়ে যায় কয়েকগুণ।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের জুলাইয়ে ‘সিলেট বিভাগে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়ন’ শীর্ষক ২ হাজার ৫৩ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করে একনেক। এ প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিকভাবে ৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নগরীর কিছু এলাকার বিদ্যুৎ লাইন ভূগর্ভে স্থানান্তরের কাজ শুরু হয়।

সর্বশেষ খবর