মঙ্গলবার, ৩০ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

প্লাস্টিকের দাপটে খাট, চকির ব্যবসা

নজরুল মৃধা, রংপুর

প্লাস্টিকের দাপটে খাট, চকির ব্যবসা

রংপুর নগরীর লালবাগহাটের চকিহাটিতে এক সময় কেনাবেচা ছিল রমরমা। এখানে কাঠের কমদামি খাট, চকি, টেবিল, চেয়ার, মিটসেভ, আলনা ইত্যাদির কেনাবেচা জমজমাট ছিল। এখন এসব আসবাবপত্রের ক্রেতা নেই বললেই চলে। তারপরও পুরনো পেশা হিসেবে অনেকেই লোকসানের মুখে এই ব্যবসা ধরে রেখেছেন অতীতের সোনালি সুদিন ফিরে পাওয়ার আশায়। 

লালবাগ হাটের পশ্চিমপাশে রাস্তার দুই পাশে সারি সারি কমদামি কাঠের আসবাবপত্র বিক্রির প্রায় ৩০টি দোকান। স্বল্প সময় ব্যবহার এবং সাশ্রয়ী খরচে মেসে থাকতে অনেকে এসব আসবাব কিনে নিতেন। প্লাস্টিকের আসবাবপত্রের দাপটে কাঠের কমদামি আসবাবপত্র বিক্রি কমে গেছে। তবে নিতান্ত প্রয়োজনে এখনো কিছু ক্রেতা আসায় এই পেশাটি কোনো রকমে টিকে রয়েছে। 

চকিহাটির ব্যবসায়ী এমদাদুল হক জানান, আড়াই ফিট বাই সাড়ে ৩ ফিট টেবিল ৫০০ টাকা, চেয়ার একটি ৩৫০-৪৫০ টাকা,  সিঙেল চকি ৫০০ টাকা, বেঞ্চ ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা, ইংলিশ খাট ২০০০ টাকায় বিক্রি করেন তিনি। সারা দিনে তিনি মাত্র ২টি টেবিল বিক্রি করেছেন ৮৫০ টাকায়। এর আগের হাটে বিক্রি হয়েছে মাত্র ৫০০ টাকা। তিনি বলেন, গত দুই বছর থেকে লোকসান দিয়ে এই ব্যবসাটিকে কোনো রকমে ধরে রেখেছেন। এ অবস্থা চললে ব্যবসা ছেড়ে অন্য পেশায় যেতে হবে বলে তিনি জানান। চকিহাটির আরেক ব্যবসায়ী  হোসেন মিয়া জানান, তিনি ১৮ বছর থেকে লালবাগ চকিহাটিতে ব্যবসা করছেন। গত ২-৩ বছর থেকে ব্যবসা একদম খারাপ। লোকসান দিয়ে ব্যবসা ধরে রেখেছেন যদি আবার এই ব্যবসায় সুদিন আসে এই আশায়।

স্থানীয়রা জানান, লালবাগের চকিহাটি এক সময় বিখ্যাত ছিল। কমদামে কাঠের সব জিনিসই এখানে পাওয়া যেত। নগরবাসী ছাড়াও বিভিন্ন উপজেলা থেকে লোকজন এসে কমদামি কাঠের চকি, খাট ইত্যাদি কিনে নিয়ে যেত। কিন্তু প্লাস্টিকের আসবাবপত্রের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এখন চকিহাটি প্রায় ক্রেতা শূন্য। ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, তাদের এই ব্যবসায় আবার সুদিন ফিরে আসবে।

সর্বশেষ খবর