একই কম্পাউন্ডে কিন্ডারগার্টেন, প্রাইমারি, বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মহিলা কলেজ। এই চার প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর চলাচলের ফুটপাতের স্ল্যাব নেই। ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে ওই চার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ হাজারো পথচারী। ফুটপাত-ড্রেনটি সড়ক ও জনপথ অধিদফতর নির্মাণ করলেও সিটি করপোরেশন তদারকি করে বলে জানিয়েছেন সড়ক বিভাগের কর্মকর্তারা।
নগরীর দক্ষিণ আলেকান্দা কিশোর মজলিস কমপ্লেক্সের মধ্যে একটি কিন্ডারগার্টেন, কিশোর মজলিস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, এআরএস বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং বেগম তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মহিলা কলেজের ৭ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। মহাসড়ক ব্যস্ত হওয়ায় ফুটপাত দিয়েই হেঁটে স্কুল-কলেজে যায় তারা। বিপজ্জনকভাবে মহাসড়কও ক্রস করতে হয় তাদের। কিন্তু তারা যে পথে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলাচল করে সওজের দেয়ালঘেঁষা সেই ১ হাজার ফুট ড্রেনের ফুটপাতের বিভিন্ন অংশে স্ল্যাব নেই। এতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে তাদের। বিশেষ করে কিন্ডারগার্টেন ও প্রাথমিকের খুদে শিক্ষার্থীরা পড়ছে সবচেয়ে বেশি সমস্যায়। অনেকে ড্রেনেও পড়ে গেছে। পড়ে গিয়ে আহতও হয়েছে অনেক ছাত্র-ছাত্রী।
এআরএস বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন জানান, ফুটপাতে স্ল্যাব না থাকায় শিক্ষার্থী এবং পথচারী সবার সমস্যা হচ্ছে। বিশেষ করে শিশুরা বেশি সমস্যায় পড়ছে।সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস বলেন, ওই ড্রেন সড়ক বিভাগ নির্মাণ করেছে। তারা অক্ষম হলে সিটি করপোরেশন ফুটপাতের স্ল্যাব নির্মাণ করে দেবে। বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ মাহমুদ সুমন জানান, তিনি সরেজমিন ওই ফুটপাত পরিদর্শন করবেন। সেখানে যা করণীয় প্রয়োজন সব কিছু করা হবে।