মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

শাপলা ভাস্কর্যের আড়ালে তেঁতুলতলা

নজরুল মৃধা, রংপুর

শাপলা ভাস্কর্যের আড়ালে তেঁতুলতলা

রংপুর নগরীর তেঁতুলতলা মোড়টির নামকরণ হারিয়ে গেছে শাপলা ভাস্কর্যের কাছে। এ প্রজন্মের অনেকেই জানেন না এখানে একটি বিশাল তেঁতুল গাছ ছিল। গাছের চারপাশে হাফ বাউন্ডারি দেয়াল ছিল। তখন তেঁতুলতলার আরেক নাম ছিল ভাটিখানা। লাইসেন্সধারীরা এখানে দেশি মদ বিক্রি করত। কালের বিবর্তনে এসবের কিছুই নেই। প্রবীণ ব্যক্তিরা এখনো খেয়ালে অথবা বেখেয়ালে শাপলা চত্বরকে এখনো তেঁতুলতলার মোড় বলে ডাকলেও ওই ডাক কেউ শোনে না। ১৯৭৮ সালে শাপলা ভাস্কর্যের পশ্চিম পাশে একটি সিনেমা হল চালু হয় বসুন্ধরা নামে একটি চলচ্চিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে। ওই সিনেমা হলের নাম শাপলা টকিজ। সিনেমা হলটি কোনো রকমে টিকে আছে। তখন থেকেই ধীরে ধীরে তেঁতুলতলা হারিয়ে যেতে থাকে। প্রয়াত শরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু পৌরসভার চেয়ারম্যান থাকাকালে শাপলা টকিজের সামনে শাপলা ভাস্কর্য নির্মাণ করেন। তখন থেকে এই মোড়টি শাপলা চত্বর নামে পরিচিতি পায়।

শাপলা চত্বরকে ঘিরে চতুর্মুখী সড়ক রয়েছে। এর পশ্চিম পাশের সড়ক দিয়ে কেন্দ্রীয় বাস টার্মনাল, পূর্বদিকে গুপ্তপাড়া, পূর্ব-দক্ষিণে রেলস্টেশন-বাবুপাড়া ও পশ্চিম পাশের সড়ক দিয়ে কারমাইকেল কলেজ ও মডার্ন মোড় যাওয়া যায়। শাপলা চত্বরের চারপাশে অসংখ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠায় এখানে সব সময় ভিড় লেগেই থাকে।  প্রাক্তন পৌর মেয়ার ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কাজী মো. জুননুন বলেন, শাপলা চত্বর এখন রংপুরের ঐতিহ্যের অংশ। তারপরও অতীত নাম ভুলে যাওয়া উচিত নয়। তিনকোনা মোড় হয়েছে পায়রা চত্বর, ইন্দ্রার মোড় হয়েছে বেগম রোকেয়া সরণি। বেশ কটি স্থানের নাম নতুন হয়েছে সময়ের চাহিদায়। তবে ওইসব স্থানের পুরনো নামও যাতে সংরক্ষণ করা হয়, তার ব্যবস্থা করা উচিত।

সর্বশেষ খবর