কুমিল্লা নগরীতে শব্দদূষণ ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। নগরীতে রাত ৩টায়ও বিয়েবাড়িতে ডিজে মিউজিক কিংবা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে মাইক বাজছে। এ ছাড়া যানজটেও মাইকে বিকট শব্দে নানা প্রচারণা চলছে। সঙ্গে নতুন আতঙ্কের নাম মোটরবাইকের বিকট শব্দ। নগরীর কান্দিরপাড়, নিউমার্কেট, মনোহরপুর, টমছম ব্রিজ, রাজগঞ্জ মোড়, চকবাজার, শাসনগাছা, রানীর বাজার, ধর্মপুর, স্টেশন রোড, রেইসকোর্স, ফৌজদারি, মোগলটুলীসহ বিভিন্ন মোড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। সেখানে যানজটেও বিকট শব্দে মাইক বাজছে। এ ছাড়া নগরীতে রাত ৩টায়ও বিয়েবাড়িতে ডিজে মিউজিক কিংবা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে মাইক বাজছে। তা এক কিলোমিটার দূর থেকে এসে কানে লাগছে। ভয়াবহ শব্দে মোটরসাইকেল চালিয়ে আতঙ্ক তৈরি করা হচ্ছে। এতে কর্মজীবী ও অসুস্থ মানুষের রাতের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটছে। নগরীর কাপ্তানবাজার এলাকার ব্যবসায়ী মো. টিপু সুলতান বলেন, বিভিন্ন পরিবহন ও মাইকের শব্দদূষণে কান ঝালাপালা। তার সঙ্গে নতুন উৎপাত যোগ হয়েছে। তা হচ্ছে অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল, পুলিশ ভ্যান, ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্সে  উচ্চ শব্দের সাইরেন বাজানো হচ্ছে। নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ ডা. আরিফ মোর্শেদ খান বলেন, শব্দদূষণের কারণে বিশ্বব্যাপী প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষভাবে শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির শিকার হয়। সবচেয়ে ক্ষতিকর শব্দদূষণজনিত শ্রবণক্ষমতা হ্রাস। অন্যান্য শারীরিক প্রভাবের মধ্যে রয়েছে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, স্ট্রোকের প্রবণতা বৃদ্ধি, নিদ্রাহীনতা, কর্মদক্ষতা হ্রাস। শব্দদূষণের কারণে যে মানসিক চাপ তৈরি হয়, তা এক কথায় স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি।

সচেতন নাগরিক কমিটি কুমিল্লার নির্বাহী সদস্য আনিসুর রহমান আখন্দ বলেন, কম শব্দে মাইক বাজানো উচিত। এদিকে রাত ১০টার পর কোনো সাউন্ডসিস্টেম ব্যবহারে প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে পারে। পারিবারিক বা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের শব্দ নিজেদের আঙিনায় সীমাবদ্ধ রাখা প্রয়োজন।