যকৃত। মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। যকৃত বা লিভারের রোগ শুরুতে শনাক্ত না হলে রোগীর জীবন সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে। যকৃতের যতেœ কুমিল্লায় কাজ করছে কুমিল্লা লিভার ক্লাব। ২০১৭ সালে সংগঠনটির যাত্রা শুরু। এতে চিকিৎসক, শিক্ষক, প্রকৌশলী, সমাজসেবী, রাজনীতিবিদ, সংস্কৃতিকর্মী, যকৃত রোগে আক্রান্ত রোগী রয়েছেন। সংগঠনটি লিভার রোগ থেকে রক্ষা পেতে মানুষকে সচেতন করে আসছে। তারা সভা, ফ্রি হেপাটাইটিস বি স্ক্রিনিং, শিক্ষা বৃত্তি, গরিব রোগীকে বিনামূল্যে ওষুধ প্রদান ও কমমূল্যে হেপাটাইটিস বি-এর টিকা দিচ্ছে। সংগঠনটি এই পর্যন্ত প্রায় ৫ হাজার মানুষের হেপাটাইটিস বি স্ক্রিনিং করেছে। সূত্র জানায়, কুমিল্লা লিভার ক্লাবের কার্যালয় রয়েছে নগরীর ঝাউতলা এলাকার পড়শী ভবনে। এখানে শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বিনামূল্যে পরামর্শ ও কমমূল্যে হেপাটাইটিস বি-এর টিকা দেওয়া হয়। শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এই সেবা দেওয়া হয়। শেষ স্টেজে থাকা রোগী কয়েক মাসের মধ্যে মারা যান। এই সময় ব্যয়বহুল চিকিৎসায় তার পরিবার নিঃশেষ হয়ে পড়ে। রোগীকে ভোগ করতে হয় অশেষ যন্ত্রণা। লিভার ক্যান্সার ও লিভার সিরোসিস হলে তাকে সারিয়ে তোলা কঠিন হয়ে পড়ে। ফ্যাটি লিভার হলে চিকিৎসকের কাছে পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। এ ছাড়া সবার প্রয়োজন হেপাটাইটিস বি স্ক্রিনিং করে পজিটিভ হলে চিকিৎসা নেওয়া। নেগেটিভ হলে হেপাটাইটিস বি-এর টিকা নেওয়া। একজন রোগী বলেন, কুমিল্লা লিভার ক্লাবে হেপাটাইটিস বি স্ক্রিনিং করেছি। পজিটিভ হওয়ার পর চিকিৎসা নিয়ে ভালো আছি। অবহেলা না করে সবারই সচেতন হওয়া প্রয়োজন।

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের  উপাধ্যক্ষ ও কুমিল্লা লিভার ক্লাবের সভাপতি ডা. মোহাম্মদ ইজাজুল হক বলেন, আমাদের কাছে কিছু রোগী আসে। তারা লিভার রোগের শেষ স্টেজে আছেন। রোগে আক্রান্ত হওয়ার আগে টিকা নিলে ভালো থাকা যায়। প্রথম দিকে চিকিৎসা নিলে রোগী সেরে ওঠে। তাই আমরা এই সংগঠনটি গঠন করি। এর মাধ্যমে রোগীদের সচেতন করছি। ভবিষ্যতে লিভার রোগ নিরাময়ে একটি ইনস্টিটিউট বা হাসপাতাল গড়ে তুলব।